'দুশমন দেশ'-এ এখন তোমার এক ভাইও আছে', গুরমেহরের জন্য পাক যুবকের 'মেসেজ' ভাইরাল সোস্যাল মিডিয়ায়
সীমান্ত পারের 'দুশমন দেশ' থেকে সমর্থন এসেছে গুরমেহরের জন্য। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী পাকিস্তানি ফায়াজ খান ইউ টিউবে একটি ভিডিওর মাধ্য়মে নিজের সমর্থন ও স্নেহের বার্তা পৌঁছে দিয়ছেন গুরমেহরের কাছে।
করাচি , ১ মার্চ : গত কয়েকদিনে জাতীয় সংবাদের শীর্ষে উঠে এসেছে এক সাধারণ মেয়ের নাম গুরমেহর কউর। রামজস কলেজে ইস্যুতে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় কখনও ধিক্কার জানানো হয়েছে তাকে, কখনও প্রবল আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে, তবে সমর্থন প্রশংসাও পেয়েছেন এই শহিদ কন্যা।[কার্গিল শহিদ-কন্যার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তাল ফেসবুক, রং লাগল রাজনীতিরও!]
তবে, রাজনৈতিক নেতানেত্রী ও অন্যান্য বিশিষ্টদের তরজার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠা গুরমেহর অবশেষে নিজেকে প্রতিবাদের পথ থেকে সরিয়ে নিয়েছেন এমনকী দিল্লিও ছেড়েছেন।[রামজশ কলেজে হিংসা: আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন গুরমেহর]
তবে গুরমেহর দেশে একটা বড় অংশের সমর্থনও পেয়েছেন। শুধু এদেশ বললে ভুল, সীমান্ত পারের 'দুশমন দেশ' থেকেও সমর্থন এসেছে গুরমেহরের জন্য। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী পাকিস্তানি ফায়াজ খান ইউ টিউবে একটি ভিডিওর মাধ্য়মে নিজের সমর্থন ও স্নেহের বার্চা পৌঁছে দিয়ছেন গুরমেহরের কাছে। আর এই ভিডিও বার্তা আপাতত সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।[দিল্লি ছেড়ে চলে গেলেও গুরমেহরকে নিয়ে অব্যাহত বাদানুবাদের পালা]
গুরমেহরের 'বিতর্কিত' ভিডিওতে তাঁকে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়, যেখানে অনেক লেখার মধ্যে সবচেয়ে কঠোর বক্তব্য ছিল, "পাকিস্তান আমার বাবাকে মারেনি, যুদ্ধ মেরেছে।"[গুরমেহর বিতর্ক : শহিদকন্যার পাশে দাঁড়ালেন বিদ্যা বালন]
একইভাবে ফায়াজও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে ভিডিওতে নিজের কথা বলেছেন। নিজের পরিচয় দেওয়ার পর ফায়াজ বলেন, "তোমার বাবাকে কার্গিল যুদ্ধে হারানোয় আমরা তোমার পরিবারের জন্য শোকাহত। আমি যুদ্ধ ও মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। সৌভাগ্যবশত আমাকে পরিবারের কোনও সদস্যকে হারাতে হয়নি। কিন্তু আমি হাজার হাজার গুরমেহর কউরের দ্বারা পরিবৃত। আমি ভিসার নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ভারতে যেতে চাই।"
এখানেই শেষ না করে আরও প্ল্যাকার্ড দেখাতে থাকেন ফায়াজ, "আরও সুঝবুঝ এবং শিক্ষা দিয়ে চল আমরা একসঙ্গে এই নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। সীমান্তপারের হাজার হাজার গুরমেহরের মতো যারা আজও ভুগছে তাদের শান্তির জন্য লড়াই করি। আমি তোমাকে বাবার ভালবাসা দিতে পারব না কিন্তু নিশ্চিতভাবে দুশমন দেশ থেকে তুমি একজন ভাই পেলে। বিশ্বজুড়ে এক অনন্য সম্পর্কের নজির সৃষ্টি করা যাক যেখানে ভাই মুসলিম আর বোন শিখ।"