জেএনইউ কান্ড : ধর্ষণের পরে নির্যাতিতাকে ১৩ বার ফোনে হুমকি দেয় অভিযুক্ত ছাত্র
নয়াদিল্লি, ২৪ অগাস্ট : যত কাণ্ড জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে চলতেই থাকে। কিছুদিন আগেই এই প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ফের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে একটি ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এক গবেষক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সারা ভারত ছাত্র সংঠনের (AISA)এক প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম আনমোল রতন। নির্যাতিতা ছাত্রীটি আজ সংবাদমাধ্যমকে জানান, "যেদিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল সেই রাত থেকেই আনমোল তাকে ১৩ বার ফোন করে হুমকি দেয়"। ['যৌন চক্রের আড়ত' হয়ে উঠেছে জেএনইউ, অভিযোগ শিক্ষকদের একাংশের]
আগেই বসন্ত কুঞ্জ থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণী। পুলিশ তখন অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণ এবং ৫০৬ ধারায় ভীতিপ্রদর্শনের জন্য মামলা রজু করেছিল। ঘটনার পর থেকে বেশ কিছু দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সূত্রের খবর পলাতক ছাত্রের খোঁজে ৫ সদস্যের পুলিশের একটি বিশেষ দল তল্লাশি চালাচ্ছে। ['জেএনইউ-য়ে প্রতিদিন ধর্ষণ হয়', ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের]
এদিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে গবেষক ছাত্রীটি জানান, "গত শনিবার আনমোল তার কাছ থেকে একটি সিনেমা নেওয়ার জন্য তাকে হস্টেলে ডেকেছিল। সেখানেই তাকে পানীয়ের মধ্যে মাদকদ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়"। এরপর থেকে বেশ কয়েকবার সোস্যাল মিড়িয়ার মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে আনমোল। কোনও উত্তর না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩ বার ফোন করে তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তরুণী। ['Anti-National'সার্চ করলে গুগুল ম্যাপ নিয়ে যাবে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে!]
প্রসঙ্গত ঘটনা সামনে আসতেই সারা ভারত ছাত্র সংঠনের (AISA) দিল্লি শাখার সম্পাদক আশুতোষ কুমার জানিয়েছিলেন," অভিযুক্ত ছাত্রকে তারা সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে। নির্যাতিতা ছাত্রী যাতে সুবিচার পায় তার জন্য সব ধরনের সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত।" আগামী ২৭ শে অগাস্ট অভিযুক্ত ছাত্রের অগ্রিম জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে। তাই পুলিশ ২৭ শে অগাস্টের আগেই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলাচ্ছে। [৩০০০ কন্ডোম, ২০০০ মদের বোতল রোজ মেলে JNU চত্ত্বরে, তোপ বিজেপি বিধায়কের!]