ভোপালে কেন জেল ভেঙে পালাতে পারল সিমি সদস্যরা? কী বলছেন জেল আধিকারিক?
সিমি জঙ্গিদের জেলে রাখতে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল পুলিশের। তবে কেন জেল ভেঙে পালাতে সক্ষম হল সিমি জঙ্গিরা? কেন এতে সক্ষম হল তারা? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠেছে। এবং এর জবাবও দিয়েছে ভোপালের জেলের কর্তব্যরত পুলিশ।
ভোপাল, ১ নভেম্বর : ভোপালে সেন্ট্রাল জেলের কনস্টেবলকে খুন করে ৩০ ফুট উঁচু পাচিল টপকে পালায় সন্দেহভাজন ৮ সিমি (স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া) জঙ্গি। পরে তাদের খুঁজে পেয়ে এনকাউন্টারে খতম করে পুলিশ। এই ঘটনার পরে নানা মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গোটা ঘটনাটির সত্যাসত্য নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে।
তবে একটা জিনিস সকলেই জেনেছেন যে জেল ভেঙেই এই সিমির সন্দেহভাজন জঙ্গিরা পালিয়েছিল। এবং তাদের জেলে রাখতে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল পুলিশকর্তাদের। তবে কেন জেল ভেঙে পালাতে সক্ষম হল সিমি জঙ্গিরা? কেন এতে সক্ষম হল তারা? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠেছে। এবং এর জবাবও দিয়েছে ভোপালের জেলের কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকেরা।
জেল কর্তাদের মতে, সিমি সদস্যদের জেল থেকে পালানোর ঘটনা হওয়ারই ছিল। তাঁদের বক্তব্য, একসঙ্গে একটি জেলে এতজন সিমি সদস্যকে রাখলে এমনটা যে হতে বাধ্য।
ভোপালের এই হাই সিকিউরিটি জেলের প্রধান এলকেএস ভাদৌরিয়া জানান, তিনি বারবার বলেছিলেন সিমি সদস্যদের আলাদা আলাদা লকআপে রাখার কথা। তবে তা শোনা হয়নি। সকলকে একজায়গায় রাখাই তাদের পালাতে সাহায্য করেছে বলেই পরোক্ষে মত তাঁর।
জানা গিয়েছে, এই জেলে মোট ২৯ জন সিমির জঙ্গি সদস্য ছিল। তার মধ্যেই মোট ৮ জন পলাতককে এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে। এরাও একসঙ্গে একটি জেলের মধ্যেই ছিল বলে জানিয়েছেন জেলর এলকেএস ভাদৌরিয়া।
দিওয়ালির রাতে জেলের এক কনস্টেবলকে খুন করে ভোরের দিকে পালায় ৮ সন্দেহভাজন সিমি জঙ্গি। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও সন্ত্রাসবাদী অভিযোগ ছিল। বিছানার চাদর জুড়ে নিয়ে ৩০ ফুট পাঁচিল টপকে বন্দিরা পালায়। সেদিন জেলের সিসিটিভি ক্যামেরাও খারাপ থাকায় তা প্রথমে জানা যায়নি। পরে মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যে পলাতকদের খোঁজ পেয়ে এনকাউন্টারে খতম করা হয়।