বউয়ের কামড়ে বেঘোরে প্রাণ গেল বরের
কানপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর : বউয়ের কামড়ে প্রাণ গেল এক ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তির। স্ত্রী নিজের বাপের বাড়ি ফতেপুর জেলায় যেতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁকে যেতে দেননি স্বামী। আর এই নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে স্বামী অরবিন্দকে কামড়ে দেন গোমতী দেবী। আর তাতেই বেঘোরে প্রাণ গিয়েছে অরবিন্দের। [স্ত্রীয়ের আরও ৭টা বর আছে, বর পেটাতেও পারদর্শী , পুলিশের কাছে অভিযোগ ব্যক্তির!]
স্থানীয় থানায় অরবিন্দের মা অভিযোগ জানানোর পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। জানা গিয়েছে, অরবিন্দ ও গোমতী দেবী তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে পাহাড়িপুর গ্রামে থাকতেন। সঙ্গে থাকতেন অরবিন্দের মা গুলাবি দেবী। [মোবাইলের পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় সুপারি কিলার দিয়ে স্ত্রীকে খুন করাল স্বামী]
গোমতীদেবী বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা বলতেই সটান না বলে দেন অরবিন্দ। আর তাতে ক্ষিপ্র হয়ে স্বামীর গলা, বুক ও পেটে কামড়ে গভীর ক্ষত করে দেন গোমতী। রক্তাক্ত অবস্থায় অরবিন্দকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। [স্ত্রীকে ছেড়ে 'প্রেমে পাগল' শাশুড়িকে বিয়ে করল এক যুবক]
ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে। গুলাবিদেবীর চোখের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। তিনি কোনওমতে প্রতিবেশীদের খবর দেন। তবে কেউ এসে ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না। কারণ গোমতী দরজা আগলে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় অরবিন্দ মাটিতে পড়ে রয়েছেন। ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। [বিয়ের দ্বিতীয় দিনই স্বামীর বাড়িতে ডাকাতি করে চম্পট দিল 'নববধূ']
এই অবস্থায় প্রথমে জখম অরবিন্দকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে গোমতী দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে অরবিন্দের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অরবিন্দের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এবং গোমতীদেবীর নামে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।