এই ফ্যাক্টরগুলি কাজ করেছে মহাজোটের পক্ষে আর বিজেপির বিপক্ষে!
নয়াদিল্লি, ৮ নভেম্বর : দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ছবিটা প্রায় স্পষ্ট হয়ে গেল। স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে শেষ হাসিটা হাসছে মহাজোটই। জয়ের হ্যাটট্রিক করে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে নীতিশ কুমার।[মহাজোটে বাজিমাত নীতিশের, এনডিএর-এর স্বপ্ন বাক্সবন্দিই রয়ে গেল!]
বিহারে মহাজোটের এই সাফল্যের পিছনে কিন্তু বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর ম্যাজিকের মতো কাদ করেছে। যেখানে এমন কয়েকটি বিষয় আছে যা বিজেপি নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করতে চাইলেও তা বুমেরাং হয়েছে। [ বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০১৫ : অসংখ্য ধন্যবাদ নির্বাচন কমিশনকে!]
জনপ্রিয় নির্বাচনতাত্ত্বিক ডঃ সন্দীপ শাস্ত্রী ওয়ানইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ঠিক কোন কোন বিষয়গুলি মহাজোটের পক্ষে গিয়েছে আর কোন বিষয়গুলিই বা বিজেপির বিপক্ষে গিয়েছে।
মহাজোটের পক্ষে গিয়েছে যে ফ্যাক্টরগুলি
নীতিশকুমারকে
মুখ্যমন্ত্রী
পদপ্রার্থী
হিসাবে
তুলে
ধরা
সন্দীপবাবুর
মতে,
মহাজোটের
পক্ষে
নীতিশকুমারকে
মুখ্যমন্ত্রী
পদপ্রার্থী
হিসাবে
তুলে
ধরাটা
খুব
ভালভাবে
কাজ
করেছে।
তিনি
আগেই
বলেছিলেন
জোট
ভোট
স্থানান্তরিত
করতে
সক্ষম
হবে
সেই
দলই
শেষ
হাসি
হাসবে
এই
নির্বাচনে।
রাষ্ট্রীয়
জনতা
দল
ও
সংযুক্ত
জনতা
দল
সেটাই
খুব
ভাল
ভাবে
নিজেদের
পক্ষে
কাজে
লাগিয়েছেন।
তারই
প্রভাব
নির্বাচনের
ফলে
স্পষ্ট।
যথাযোগ্য
নির্বাচনী
প্রচার
পাশাপাশি
তিনি
এও
বলেন,
মহাজোটের
পক্ষে
সবচেয়ে
উল্লেখযোগ্য
যে
ফ্যাক্টরটি
তা
হল
বিহারে
যথাযোগ্য
নির্বাচনী
প্রচার।
সামাজিক
ন্যায়ের
বিষয়সূচী
নিয়ে
আওয়াজ
তোলার
আবেগটা
ম্যাজিকের
মতো
কাজ
করেছে।
সমাজের
পিছিয়ে
পরা
সম্প্রদায়
গড়েছে
তফাৎটা
সমাজের
কম
সুবিধাপ্রাপ্ত,
সামাজিক
ও
অর্থনৈতিকভাবে
পিছিয়ে
পরা
সম্প্রদায়
য়ারা
রাজ্যের
উপর
অত্যধিক
মাত্রায়
নির্ভরশীল
তারাই
বিহারের
এই
নির্বাচনের
ফলের
ভিতটা
গড়ে
দিয়েছেন।
নিজেদের
লোক
নীতিশ
এই
ভাবাবেগ
নীতিশ
কুমারকে
প্রোজেক্ট
করে
আরও
একটি
সুবিধা
হয়েছে
মহাজোটের
তা
হল,
নীতিশ
আমাদের
নিজেদের
লোক,
মোদী
বা
অমিত
শাহ
সেভাবে
বিহারের
ভাবাবেগের
সঙ্গে
একাত্ম
হতে
পারেননি।
তাই
নীতিশের
উপরই
আরও
একবার
ভরসা
দেখিয়েছে
বিহারবাসী।
অন্যদিকে বিজেপির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় তাদের বিপক্ষে গিয়েছে
সাম্প্রদায়িত
নির্বাচন
খাটেনি
সন্দীপবাবুর
কথায়,
আমি
এটা
বলছি
না
মানুষ
নরেন্দ্র
মোদীর
বিরুদ্ধে
গণভোট
দিয়েছে।
তবে
নির্বাচনে
সাম্প্রদায়িকতার
চালটা
একেবারেই
বিজেপির
বিপক্ষে
গিয়েছে।
আসন
ভাগাভাগিতে
ভুল
সিদ্ধান্ত
আর
একটি
বড়
ফ্যাক্টর
অবশ্যই
আসনের
ভাগাভাগি।
যা
একেবারে
খাটেনি।
বিজেপির
অন্দরেও
এ
নিয়ে
একাংশের
মধ্যে
ক্ষোভ
ছিল।
যার
প্রভাব
পড়েছে
নির্বাচনের
ফলেও।
বিজেপির
জোটসঙ্গীদের
আশাপ্রদ
ফল
না
হওয়া
বিজেপির
জোটসঙ্গীতা
আশাপ্রদ
ফল
করতে
পারেনি।
যে
যে
আসনেও
বিজেপির
জোটসঙ্গীরা
জিতেছে
সেখানে
দেখলে
দেখা
যাবে
খুব
কম
ভোটের
ব্যবধানে
কোনও
মতে
তারা
আসনে
কব্জা
করেছে।
আর
জোটসঙ্গীদের
এই
অসাফল্য
বিজেপিকে
একটা
বিশাল
বড়
ধাক্কা
দিয়েছে।
এই
বিষয়
নিয়ে
দলীয়ভাবে
পর্যালোচনা
অবশ্যই
প্রয়োজন।
কম
আসনে
বিজেপির
লড়াই
বিজেপি
ভাবতে
পারে
এই
অবস্থায়
হয়
জোটসঙ্গীদের
উপর
ভরসা
না
করে
তাদেরই
আরও
বেশি
আসনে
লড়াই
করা
উচিত
ছিল।
তাহলে
হয়তো
এর
থেকে
ভাল
ফল
হত।
কিন্তু
এই
ভাবনাটা
নির্বাচন
হওয়ার
আগে
আসা
উচিত
ছিল।
স্থানীয়
সংগঠনের
চেয়ে
কেন্দ্রীয়
নেতৃত্বে
বেশি
নজর
দেওয়া
আর
একটি
গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়
হল,
বিজেপিকে
বুঝতে
হবে,
শুধু
কেন্দ্রের
জোরে
রাজ্য
রাজনীতিতে
ঘাঁটি
গাড়া
যাবে
না।
রাজ্যে
দলীয়
সংগঠনকে
মজবুত
করতে
হবে।
লোকসভায়
যে
মোদী
হাওয়া
ছিল
সেই
হাওয়ায়
পাখা
দিয়ে
সব
রাজ্যে
ক্ষমতায়
আসা
যাবে
না।