(ছবি) জেনে নিন ঠিক কীভাবে ২৬/১১ মুম্বই হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরে জলপথে ভারতে এসে বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের মাটিতে সন্ত্রাস ছড়িয়েছিল পাক জঙ্গিরা। তারা যে পাকিস্তান থেকেই এদেশে এসেছিল তা এদিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সেদেশের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান তারিক খোসার কথায়। [পাকিস্তানে বসেই ২৬/১১ মুম্বই হামলা ছক : স্বীকারোক্তি পাক গোয়েন্দা প্রধানের]
আজমল কাসভরা পাকিস্তানেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এদেশে এসে মুম্বইয়ে চারদিন ধরে হামলা চালায়। ঘটনায় প্রাণ হারায় ১৬৪ টি নিরীহ প্রাণ। আহত হন ৩০৮ জন।
একমাত্র জীবিত জঙ্গি হিসাবে ধরা পড়েছিল আজমল কাসভ। পরে ভারতে তার ফাঁসি হয়। নিচের স্লাইডে দেখে নিন কীভাবে হামলা চালানো হয়েছিল ২৬ নভেম্বর ২০০৮ সালে।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
মুম্বই হামলার ছক কষেছিল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠন। পাকিস্তানে বসেই সেই ছক কষা হয়েছিল।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
মোট ১০ জন যুবককে পাকিস্তানের মাটিতেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র সমেত ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
২১ নভেম্বর করাচি ছাড়ে ওই জঙ্গিরা। প্রায় ৩৮ ঘণ্টা ধরে ভারতীয় জলসেনার নজর এড়িয়ে বোটে করে এদেশের জলসীমান্তে আসে।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
২৩ নভেম্বর জঙ্গিরা একটি ভারতীয় ট্রলার অপহরণ করে। 'কুবের' নামের ওই ট্রলারের চারজন মৎসজীবীকে মেরে নাবিককে প্রাণের ভয় দেখিয়ে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা ভারতীয় জলবাহিনীর নজর এড়িয়ে মুম্বইয়ের সীমান্তে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
এরপরে করাচি থেকে নির্দেশ এলে মুম্বই উপকূল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় ট্রলারের নাবিককে মেরে স্পিড বোট নিয়ে পাড়ে চলে আসে জঙ্গিরা।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয় জঙ্গি কার্যকলাপ। প্রথমে একটি কাফেতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১০ জনকে মারা হয়। দুটি ট্যাক্সিতেও বোমা রাখা হয়। ঘটনায় মোট ৫ জন মারা যান ও ১৫ জন আহত হন।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
এরপরে জঙ্গিদের মধ্য়ে চারজন তাজমহল হোটেলে ঢোকে। ২ জন ওবেরয় ট্রাইডেন্টে ও ২ জন নরিম্যান হাউসে। বাকি দুই জঙ্গি আজমল কাসভ ও ইসমাইল ট্যাক্সি ধরে ছত্রপতি শিবাজি রেল টার্মিনাসে চলে যায়।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
আজমল কাসভ ও ইসমাইলের হাতে ছিল একে-৪৭ রাইফেল। স্টেশনে ঢুকেই নির্বিচারে গুলি চালাতে ও হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। ঘটনায় মোট ৫২ জন মারা যান, আহত হন ১০৯ জন।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
এরপরে আজমল ও ইসমাইল কামা হাসপাতালে ঢুকে সেখানেও প্রকাশ্য়ে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। মুম্বইয়ের এটিএস প্রধান হেমন্ত করকরে কাসভদের ধরতে গেলে তাঁকেও মেরে ফেলে জঙ্গিরা। এরপরে জিপ নিয়ে পালিয়ে যায়।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
তবে গমদেবী পুলিশ স্টেশনের আধিকারিকেরা গীরগম চৌপাট্টিতে গিয়ে অবশেষে ধরে ফেলেন দুজনকে। গুলিতে ইসমাইলের মৃত্যু হয়, এবং আজমল কাসভ একমাত্র জীবিত জঙ্গি হিসাবে ধরা পড়ে।
২৬/১১ মুম্বই হামলা
এই ঘটনার পরে অন্যদিকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত তাজমহল হোটেল, টাওয়ার হোটেল, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, নরিম্যান হাউস ইত্য়াদি জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা জঙ্গিদের নিকেশ করে ভারতীয় কম্যান্ডোরা, বিপদমুক্ত ঘোষণা করা হয় বাণিজ্যনগরী মুম্বই।