দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করলে পূর্ণ সমর্থন দেব আমরা, সরকারকে বার্তা রাহুলের
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হলে সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেবো আমরা। মোদীজি, আপনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করুন। ভয় পাবেন না।’
নয়াদিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর : সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করলে পূর্ণ সমর্থন দেবে বিরোধীরা। যৌথ বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে রাহুল বলেন, 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হলে সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেবো আমরা। মোদীজি, আপনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করুন। ভয় পাবেন না।'
রাহুল আরও বলেন, অবশ্যই এই সমর্থনের পিছনে তাঁদের কিছু শর্ত থাকবে। অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে বিজয় মালিয়া ও ললিত মোদীকে। মালিয়া ও ললিত মোদীকে দেশে ফেরানোর কোনও উদ্যোগই নেই সরকারের। অথচ কালো টাকা, দুর্নীতির নিয়ে বড় বড় কথা বলে চলেছে সরকার।
রাহুল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী, আপনার বিরুদ্ধেও তো দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই দুর্নীতি থেকে কালিমামুক্ত হতে অবিলম্বে তদন্ত করুন।' মোদীজি কেন তদন্তে রাজি হচ্ছেন না? কেন তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশ্ন তোলেন রাহুল। এদিন সুইস ব্যাঙ্কের তালিকা সংসদে প্রকাশ করার আর্জি জানান তিনি।
এদিন রাহুল বলেন, নোট বাতিল একটা বিরাট দুর্নীতি। ৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। দুর্নীতি ও কালো টাকা নিয়ে আদৌ কোনও অগ্রগতি হয়েছে কি? উল্টে নতুন কালো বাজার তৈরি হয়েছে। তারপর কেটে গিয়েছে ৪৭ দিন। আর মাত্র তিনদিন বাকি নির্ধারিত ৫০ দিন হতে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর অর্থাৎ নোট বাতিলের ৫০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তা কি আদৌ সম্ভব বলে মনে হচ্ছে তিনদিন আগে।
আসলে এটা একটা গরিব বিরোধী সিদ্ধান্ত। গরিব মানুষের টাকা তো আর কালো টাকা নয়। আর যে দেশের ৯০ শতাংশ গরিব মানুষ, সেই দেশে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের মানুষকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে দেশেরই সরকার। প্রমাণিত এই সরকার জনবিরোধী।
তাই মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। যৌথভাবে অভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যে সমস্ত বিরোধী দল এদিনের বৈঠকে অংশ নিতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে আলাদা করে আলোচনা করা হবে। রাহুল বলেন, যে উদ্দেশে নোট বাতিল, তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। নোট বাতিলের পর নতুন করে কালো বাজার তৈরি হয়েছে। দুর্নীতির কথা বলে নোট বাতিল হলেও, নোট বাতিল করে আদতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।