'ভারতের জল পাকিস্তানে যাবে না', সিন্ধুর জল নিয়ে এবার সরাসরি হুঙ্কার মোদীর
পাঞ্জাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে সেরাজ্যে গিয়ে কৃষকদের মনজয় করতে ফের একবার সিন্ধু জলচুক্তির প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভাটিন্ডা, ২৫ নভেম্বর : পাঞ্জাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে সেরাজ্যে গিয়ে কৃষকদের মনজয় করতে ফের একবার সিন্ধু জলচুক্তির প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, যে নদীর জলে ভারতের অধিকার রয়েছে তা পাকিস্তানকে দিয়ে দেওয়া যায় না।
সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে জেনে নিন বিস্তারিত
চিন ব্রহ্মপুত্রের জল আটকালে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত!
প্রধানমন্ত্রী এদিন পাঞ্জাবের ভাটিন্ডাতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, আমাদের কৃষকদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জল চাই। যে জলের উপরে ভারতের অধিকার রয়েছে তা কোনওভাবেই পাকিস্তানকে ছেড়ে দেওয়া যায় না। যদিও মোদীর এই বক্তব্যকে নির্বাচনী প্রচার হিসাবেই বিঁধছেন বিরোধীরা।
এদিন ভাটিন্ডায় এইমস হাসপাতালের একটি শাখার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, নির্বাচন নয়, কৃষকদের উন্নয়ন নিয়েই তিনি বেশি ভাবিত। তাঁর কাছে নির্বাচন কোনও বড় ফ্যাক্টর নয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয় ভারত ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যে। এটি 'সিন্ধু জল চুক্তি' নামে পরিচিত। চুক্তি অনুযায়ী, পূর্বের তিনটি নদী বিপাশা, ইরাবতী ও শতদ্রুর অধিকার থাকবে ভারতের কাছে। অন্যদিকে পশ্চিমের তিনটি নদী সিন্ধু, চেনাব ও ঝিলমের অধিকার থাকবে পাকিস্তানের।
সেই চুক্তি মতো ভারতের মাটিতে সৃষ্ট নদীগুলির জলের মাত্র ২০ শতাংশ ভারত ব্যবহার করে। বাকী ৮০ শতাংশ পাকিস্তানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী এই চুক্তি নিয়ে মুখ খোলেন।
তিনি জানান, রক্ত ও জল কখনও একসঙ্গে বইতে পারে না। অর্থাৎ পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বন্ধ না করলে সিন্ধু চুক্তির খেলাপ করে ভারত জল দেওয়া বন্ধ করে দেবে।
এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে নরেন্দ্র মোদী পাঞ্জাবে জানিয়েছেন, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন তিনি। যাতে পাঞ্জাব ও অন্য রাজ্যগুলি পর্যাপ্ত সেচের জল পায়।
এর আগে ভারতের হুঁশিয়ারির জবাবে পাকিস্তানও জানিয়েছিল যে সিন্ধু জলচুক্তির খেলাপ করলে তার ফল ভালো হবে না। তা যুদ্ধ ডেকে আনতে পারে বলেও ঘুরিয়ে হুমকি দেয় পাকিস্তান। এবার দেখার প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়।