মধুফাঁদে পা দিয়ে প্রতিরক্ষার গোপনতথ্য পাচারের অভিযোগ বরুণ গান্ধীর বিরুদ্ধে
বিদেশের যৌনকর্মীদের ফাঁদে পা দিয়ে অস্ত্র কারখানার এক দালাকে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্য পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠল বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীর বিরুদ্ধে।
নয়াদিল্লি, ২১ অক্টোবর : মধুফাঁদে পড়ে প্রতিরক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করেছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। অভিযোগ অন্তত এমনটাই। বিদেশের যৌনকর্মীদের ফাঁদে পা দিয়ে বরুণ অস্ত্র কারখানার এক দালাকে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্য পাচার করেছেন এই অভিযোগ তুলে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দফতরে। [ফেসবুকে ইঞ্জিনিয়ারের 'মধু ফাঁদে' পা দিয়ে যৌন শোষণের শিকার মুম্বইয়ের কিশোর]
যদিও এই অভিযোগ মানতে অস্বীকার করেছেন গান্ধী বংশের ৩৬ বছরের বিজেপি গান্ধী, বরুণ।
স্বরাজ অভিযান নেতা প্রশান্ত ভূষণ এবং যোগেন্দ্র যাদব প্রধানমন্ত্রী দফতরে লেখা নিউ ইয়র্কের আইনজীবী এডমন্ড আলেনের লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করলে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। গত মাসে লেখা ওই চিঠিতে লেখা আছে, মধুচক্রের ফাঁদে পা দিয়ে অস্ত্র কারখানার দালাল অভিষেক বর্মার কাছে গোপন তথ্য পাচার করেন বরুণ।
অভিযোগ করা হয়েছে, যে বরুণের সঙ্গে বিদেশী যৌনকর্মীদের ছবি দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয় এবং সেনার গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি নিয়ে তথ্য দিতে চাপ দেওয়া হয় তাঁকে।
প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদব বরুণ গান্ধীর নাম না করেই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ইউপিএ আমলে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য ছিলেন এক বিজেপি সাংসদ। তবে এর সমর্থনে যে সমস্ত নথি পত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাতে একাধিকবাক বরুণ গান্ধীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বরুণ গান্ধীর অবশ্য মন্তব্য ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে অভিষেক বর্মা নামে কোনও ব্যক্তিকেই চেনেন না। এবং প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদবের নামে মিথ্যা আরোপ আনা এবং মানহানির মামলা ঠুকবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন বরুণ।
উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে এই ধরণের অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বিড়ম্বনায় বিজেপি। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির তরফে শুধু বরুণ বাদে কারোর মুখে কোনও কথা শোনা যায়নি এখনও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পার্রিকরকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা হলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।