মায়ের সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে উড়ে এসে জুড়ে বসলেন জয়ললিতার 'ছেলে'
এরোডের বাসিন্দা কৃষ্ণমূর্তি। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন এবং দাবি করেন তিনি জয়ললিতার একমাত্র পুত্র এবং তাঁকে মাকে খুন করা হয়েছে।
চেন্নাই, ১৫ মার্চ : তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ের ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যদিও পরে জানা যায় যাঁকে তাঁর মেয়ে বলা হচ্ছে তিনি আসলে জনপ্রিয় এক দক্ষিণী সঙ্গীতশিল্পী। কিন্তু এবার মায়ের সম্পত্তির ভাগ চাইতে উদয় হলে জয়ললিতার 'ছেলে'।
২২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জয়ললিতা। ৫ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে জয়ললিতার মৃত্যুর পর জয়ললিতার দুই অনুগামী ও পন্নিরসেলবম এবং শশীকলার মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এরই মাঝে প্রিয়া লক্ষ্মী বলে এক মহিলা সামনে আসে, যিনি নিজেকে এমজিআর এবং জয়ললিতার মেয়ে বলে দাবি করেন। যদিও পুলিশ এই ঘটনাকে জালিয়াতির কাণ্ড বলে কাটিয়ে দেয়।
এইসবের মধ্যে উদয় হন এরোডের বাসিন্দা কৃষ্ণমূর্তি। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন এবং দাবি করেন তিনি জয়ললিতার একমাত্র পুত্র এবং তাঁকে মাকে খুন করা হয়েছে।
কৃষ্ণমূর্তির দাবি, জয়ললিতার বন্ধু বনিতামণির বাড়িতে থাকতেন তিনি। যারা তাকে দত্তক নিয়েছিলেন সেই দম্পতিও ওই একই বাড়িতে থাকতেন। তিনি বলেন, "মা আর শশীকলার মধ্যে সমস্যা তৈরি হওয়ার পরই মা চেয়েছিলেন আমাকে নিজের ছেলে পরিচয় দিয়ে দুনিয়ার সামনে আনতে। শশীকলা আমার মাকে ২২ সেপ্টেম্বর সিড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে দেয়, এবং খুন করে।"
কিন্তু এতদিন কেন তাহলে তিনি চুপচাপ ছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কৃষ্ণমূর্তি বলেন, এতদিন প্রাণের ভয়ে চুপ করে ছিলেন তিনি। কিন্তু সত্য় উদঘাটনের জন্যই সাহস জুগিয়ে সামনে এসেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, জয়ললিতার একমাত্র ছেলে হওয়ার দরুণ আম্মার সমস্ত সম্পত্তিতে একমাত্র তারই অধিকার রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কৃষ্ণমূর্তি সমাজকর্মী টি রামাস্বামীর কাছে চিঠি লেখেন। তারপর তাঁর পরামর্শেই মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি লেখেন তিনি।