প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন অভিযানে গিয়ে মার খেলেন তৃণমূল সাংসদরা!
অবিলম্বে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে রোজভ্যালি-কাণ্ডে বাবুল সুপ্রিয়কেও গ্রেফতার করতে হবে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে থানা চত্বরে।
নয়াদিল্লি, ৪ জানুয়ারি: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্য। এবার সেই আঁচ ছড়াল রাজধানীতেও। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন অভিযানে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক তৃণমূলের রাজ্যসভা এবং লোকসভার সাংসদরা। তাঁদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করছিলেন। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁদেরকে পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ।
এমনকি, কোনও মহিলা পুলিশ ছাড়াই তৃণমূলের মহিলা সাংসদদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই তাঁদের তুঘলোক থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে থানার মধ্যেই মাটিতে ধর্নায় বসে পড়েন সাংসদরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে রোজভ্যালি-কাণ্ডে বাবুল সুপ্রিয়কেও গ্রেফতার করতে হবে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে থানা চত্বরে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা নেয় তৃণমূল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সাংসদেরা গাড়ি করে সেদিকে রওনা দিচ্ছিল। কিছুটা এগোতেই পুলিশ তাঁদের গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলে, অভিযোগ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গাড়ি থেকে না নামতে চাইলে তাঁদেরকে জোর করা হয়। সেই সময় কিছুটা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সংসদরা।
সেই সময় সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক সাংসদকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, তাঁকেও লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ কল্যাণবাবুর। জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে থানা চত্বরে। পুলিশের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে থানা চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা।
অন্যদিকে সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেন, এভাবে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরার চেষ্টা চলছে। তবে বেশিদিন এহেন রাজনীতি চলবে না বলেও নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকারকে কার্যত সাবধান করে দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে রাজ্যের পাশাপাশি দিল্লিতেও বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা নেয় তৃণমূল। সেই মতো দুপুরে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এরপরেই ৩৬ জন সাংসদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগলে কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের সবাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ।