ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার পাক জঙ্গিদের
নয়াদিল্লি, ১১ অগাস্ট : কাশ্মীর উপত্যকা সহ ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনই প্রমাণ পেলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি বুরহান ওয়ানি মৃত্য়ুর পরে দক্ষিণ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় হিংসা ছড়ানোর কাজে এক পাক জঙ্গি বাহাদুর আলিকে ব্যবহার করা হয়েছিল । ভারতীয় সেনা বাহাদুর আলিকে গ্রেফতারের পরে দফায় দফায় জেরা চালিয়ে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে জানতে পেরেছে। [আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানেই ভারতে হামলার প্রশিক্ষণ চলেছে, জেরায় কবুল লস্কর জঙ্গির]
২০০৮ সাল থেকে জামাত-উদ-দাওয়া জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে বাহাদুর যোগাযোগের যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেনাবাহিনীর কায়দায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এই জঙ্গিকে। ভারতে প্রবেশের সময় থেকেই সে জিপিএসের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করত। কথা বলার সময়ে আলফা থ্রি কোড ব্যবহার করতো সে সবসময়। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা, এবং অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে সাবলীল ছিল বাহাদুর আলি। [১৫ অগাস্ট ড্রোন হামলা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর উপরে! সতর্কতার নির্দেশ গোয়েন্দাদের]
নয়াদিল্লিতে এনআইএ -র সাংবাদিক সম্মেলনে বাহাদুরকে জেরা করে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ধৃত বাহাদুর পাকিস্তানের লাহোরের বাসিন্দা ছিল। ১১ জুন সে সীমান্ত অতিক্রম করে কাশ্মীরে পৌঁছায়। ২৫ শে জুন সে সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায়।[কাশ্মীরে ভারত বিরোধিতার নয়া মুখ এই ব্যক্তি? কে তিনি? জেনে নিন]
জেরার মুখে সে স্পষ্ট স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা তাকে অস্ত্র এবং অনান্য অত্যাধুনিক সামগ্রী দিয়ে ভারতে পাঠিয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে পাক-সেনাবাহিনী যুক্ত ছিল এমন তথ্যও জেরাতে উঠে এসেছে।