দেশের এই এলাকায় নিজের বাবাকে বিয়ে করেন মেয়েরা, মা হন 'সতীন'
কথায় বলে, বিয়ে ঠিক হয় স্বর্গে।তবে বিশ্বে এরকম জায়গায়ও রয়েছে, যেখানে বিয়ে ঠিক হয় নিয়ম আর ঐতিহ্যের আজব বেড়াজালে। মান্ডি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায়, নিজের মেয়ের সঙ্গে স্বামীকে ভাগ করে নিতে বাধ্য হন মায়েরা
কথায় বলে , বিয়ে ঠিক হয় স্বর্গে। তবে বিশ্বে এরকম জায়গায়ও রয়েছে , যেখানে বিয়ে ঠিক হয় নিয়ম আর ঐতিহ্যের আজব বেড়াজালে। মান্ডি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় , নিজের মেয়ের সঙ্গে স্বামীকে ভাগ করে নিতে বাধ্য হন মায়েরা। ভারতের নাগাল্যান্ড , মেঘালয় , অসমের বহু জায়গায় এভাবেই চলে আসছে এই প্রথা।[আরও পড়ুন:স্বামী চাই, দাবিতে সোচ্চার উত্তরাখণ্ডের বিধবাদের গ্রাম]
প্রতিটি মেয়েরই বিয়ে নিয়ে থাকে এক ঝঁক স্বপ্ন। স্বামীর সঙ্গে জোট বেঁধে বিয়ের পর অন্য এক দুনিয়ায় পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছে থাকে প্রতিটি মেয়েরই। তবে সেই স্বপ্ন দেখা মানা মান্ডি উপজাতির মেয়েদের। তাঁরা জন্ম থেকে যে বাড়িতে থাকেন, নিজের বাবাকে বিয়ের পরেও সেখানেই থেকে যেতে হয়। ফলে আলাদা করে স্বামীর সংসারে যাওয়ার রীতি নেই এখানে।
শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও বাস এই মান্ডি উপজাতির। বাংলাদেশেরই মধুপুরের নিবাসী অরোলা ডাবলেট, একজন মান্ডি কন্যা। ৩০ বছরের এই যুবতী যখন খুব ছোট ছিলেন তখনই মারা যান তাঁর বাবা। সেই সময়ে তাঁর মা আরেকটি বিয়ে করেন। তখন থেকেই তাঁর মায়ের দ্বিতীয় স্বামীকে নিজের স্বামী হিসাবে জানেন অরোলা।[আরও পড়ুন:প্রতিটি বিমানের গায়ে সাদা রং থাকার অর্থ জানা আছে, জানুন]
অরোলারও স্বপ্ন ছিল একজন সুপুরুষ ব্যাক্তি তাঁর স্বামী হবেন। আই নিয়ে স্বপ্ন দেখতেও শুরু করেন তিনি। তবে আরেকটু জ্ঞান হতেই তিনি বুঝতে পারেন, স্বপ্ন দেখার অধিকারটুকু পর্যন্ত নেই তাঁর। তিনি বলেন, ' যেদিন জানতে পারলাম বাবার সঙ্গে বিয়ে হবে আমাার, সেদিন পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হল।' এখন তাঁর বাবার ঔরসজাত ৩ সন্তানের মা হয়েছেন অরোলা।[আরও পড়ুন:'বিয়ার' নিয়ে যোগ অভ্যাস করা হয় এই জায়গায়]
মান্ডি উপজাতির ধারা অনুযায়ী,স্বামী মারা গেলে, স্বামীর পরিবারের যে কারোর সঙ্গে বিয়ে করতে পারেন স্ত্রী। মনে করা হয়, স্বামী হাট্টাকাট্টা হলে, তিনি তাঁর স্ত্রী ও কন্যা দুজনকেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে মান্ডি উপজাতি ভুক্ত মানুষদের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। আর চিরাচরিত রীতিতে এভাবেই সেখানে পারিবারিক সম্পর্ক টিকে রয়েছে।