ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগে সর্বদলীয় বৈঠকে ‘ভিভিপ্যাট’ দাওয়াই নির্বাচন কমিশনের
ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে সর্বদলীয় বৈঠকে একযোগে সরব ১৬ টি রাজনৈতিক দল। শুক্রবার দিল্লিতে কমিশনের দফতরে ইভিএম কারচুপি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
'ইভিএম'-এ কারচুপির অভিযোগে সর্বদলীয় বৈঠকে একযোগে সরব ১৬ টি রাজনৈতিক দল। শুক্রবার দিল্লিতে কমিশনের দফতরে ইভিএম কারচুপি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সেখানে বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী, বহুজন সমাজবাদী, আম আদমি- সমস্ত পার্টির প্রতিনিধিই হাজির। নির্বাচন কমিশন বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে ভিভিপ্যাট যন্ত্র ব্যবহারের কথা আলোচনা করেছে সর্বদলীয় বৈঠকে।
ফলে ইভিএম মেশিনের কারচুপি রুখতে ভবিষ্যতে ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেইল বা ভিভিপ্যাট মেশিন ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেই এই ভিভিপ্যাট পরীক্ষণীয়ভাবে ব্যবহার করা হতে পারে। তারপর ২০১৯-এও লোকসভা ভোটে ভিভিপ্যাট আনতে পারে নির্বাচন কমিশন।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী, আপ সু্প্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই অভিযোগ তোলেন। আরও ১৪টি রাজনৈতিক দল তাতে সায় দেয়। ফলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেন।
সেইমতো এদিন দিল্লিতে বৈঠকে বসে। সাতটি জাতীয় দল ও ৪৯টি আঞ্চলিক দলকে নিয়ে বৈঠকে নাসিম জাইদি জানিয়ে দেন ভিভিপ্যাট যন্ত্র ব্যবহার করে কারচুপি রোখা হবে। এই ভিভিপ্যাট যন্ত্র বসানোর ভাবনাই প্রমাণ করে দেয় ইভিএমে কারচুপি করা যেতে পারে। এই দাবিতেই সরব হয় বিরোধীদলগুলো। তাহলে তাঁদের অভিযোগ যে অমূলক নয়, তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে ইভিএমের হার্ডওয়ার, সফটওয়ারেও কারচুপি সম্ভব। তাই ভিভিপ্যাট ব্যবহার করে ভোটারদের ভোটদান সুনিশ্চিত করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যেই এই সর্বদল বৈঠক। এই ভিভিপ্যাট মেশিন ভোটারদের স্লিপ দেবে। নতুন ভিভিপ্যাট মেশিন কেনার জন্য ৩ লক্ষ্য ১৭ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।