সীমান্তে মৃত জওয়ানের অঙ্গচ্ছেদ করল জঙ্গিরা, যথাযথ জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার সেনার
জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার ম্যাকহিল সেক্টরে লাইন অফ কন্ট্রোলে জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয় ভারতীয় জওয়ানের। জওয়ানের মৃতদেহ পরে ছিন্নভিন্ন করে দেয় জঙ্গিরা, ধর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলে দেয় শহিদের মরদেহ।
নয়াদিল্লি, ২৯ অক্টোবর : জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার ম্যাকহিল সেক্টরে লাইন অফ কন্ট্রোলে জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয় ভারতীয় জওয়ানের। শহিদ জওয়ানের মৃতদেহ পরে ছিন্নভিন্ন করে দেয় জঙ্গিরা, ধর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলে দেয় শহিদের মরদেহ। তাকপর পাকিস্তানি সেনার কভার ফায়ারিংয়ের মদতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ফিরে যায় জঙ্গিরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। শ্রীনগরে সেনা মুখপাত্রের কথায়, "গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গিকে খতম করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শহিদ জওয়ানের অঙ্গচ্ছেদ করার ঘটনা পাকিস্তানের সরকারি বা বেসরকারি গোষ্ঠীর বর্বরোচিত মানসিকতারই জলজ্যান্ত উদাহরণ।"
তিনি আরও বলেন, "এমন অমানবিক ঘটনা ঘটানোর পরও সন্ত্রাসবাদীরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয় কারণ পাকিস্তানের সেনা ঘাঁটি থেকে কভার ফায়ারিং দিয়ে তাঁদের ফিরে যেতে সাহায্য করা হয়।"মৃত শহিদের নাম মনজিৎ সিং।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকেই আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। কারণ ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের অনুমান, পাকিস্তানের সেনা প্রধান রহিল শরিফ BAT (বর্ডার অ্যাকশন টিম)-র সাহায্যে সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে চাইবে। মনে করা হচ্ছে শুক্রবারের এই ঘটনার পিছনেও পাকিস্তানের BAT কার্যকলাপই রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালেও জম্মু ও কাশ্মীরের মেন্ধার সেক্টরে একইভাবে হামলা চালায় BAT। এক ভারতীয় সেনার মাথা ধর থেকে আলাদা করে দেওয়া হয় অন্য এক জওয়ানের অঙ্গচ্ছেদ কার হয়। তার যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারত। তৎকালীন সেনা প্রধান বিক্রম সিং জানিয়েছিলেন, পড়শীরা যদি নিয়ম ভাঙে তার পরেও ভারতীয় সেনা নিয়ম মেনে চলবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।