জয়াকে যে যন্ত্র বাঁচাতে পারেনি, তার প্রয়োগে মাত্র কয়েকদিনে সুস্থ মৃতপ্রায় শ্রীনাথ
চেন্নাইয়ের শ্রীনাথ এখন শ্রীনাথ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর এক্ষেত্রে তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছে ECMO যন্ত্র যা অ্যাপোলোর চিকিৎসকেরা প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করেছিলেন।
চেন্নাই, ১৩ ডিসেম্বর : হঠাৎ করে চেন্নাইয়ের বাসিন্দা শ্রীনাথের (৪৩) জ্বর হয়। এরপরই তাঁকে ভর্তি করতে হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন শ্রীনাথের হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
ঘটনার পরে পরিবার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কারণ শ্রীনাথ শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্যে থাকেন। এমনকী পরিবারে হৃদরোগের কোনও ইতিহাসও নেই।
পরে জানা যায়, প্রযুক্তিকর্মী শ্রীনাথের মায়োকার্ডিটিস হয়েছে। অর্থাৎ সাধারণভাবে বললে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশিতে এক ধরনের সংক্রমণ। তবে এখন শ্রীনাথ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর এক্ষেত্রে তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছে ECMO যন্ত্র যা অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকেরা প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করেছিলেন। তবে জয়াকে বাঁচানো যায়নি।
ECMO যন্ত্রটির চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী নাম 'এক্সট্রাকর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন'। এটি এমন একটি যন্ত্র যা শরীরের বাইরে থেকে কাজ করে। যে ব্যক্তির হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস সঠিক পরিমাণে শরীরে অক্সিজেন প্রবাহে বিফল তাদের দেহে অস্কিজেন সরবরাহ হয় এই যন্ত্রের মাধ্যমে। গোটা প্রক্রিয়াকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় 'ECMO'।
সাধারণত রোগীর হৃদযন্ত্র বিকল হলে এই ধরনের যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে রোগীকে সুস্থ করার প্রয়াস চালানো হয়। রক্তে মিশে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইডকে বের করে অক্সিজেনের প্রবেশ করায় এই যন্ত্র। অর্থাৎ সাধারণ কথায় এটিকে 'লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম'-ও বলা যেতে পারে। এই ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার করে রোগী ৫০-৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে বেঁচে ওঠেন।
শ্রীনাথের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। একেবারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, পরিবার পুরোপুরি আশা ছেড়ে দিয়েছিল। তবে এই যন্ত্রই তাঁকে নতুন জীবনে ফিরিয়ে দিল।