ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করায় স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর
নিজের স্ত্রীকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মহারাষ্ট্রের পুনেয়। ব্যক্তিগত নানা তথ্য, ছবি স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দিয়ে দিতেন স্ত্রী।
পুনে, ২০ জানুয়ারি : নিজের স্ত্রীকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মহারাষ্ট্রের পুনের হাদাপসরের শিব পার্ক অ্যাপার্টমেন্টে।
সুইসাইড নোটে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী রাকেশ গানগুর্দে (৩৪) লিখেছেন, তাঁর সঙ্গে স্ত্রী সোনালির (২৮) প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো। ব্যক্তিগত নানা তথ্য, ছবি স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দিয়ে দিতেন স্ত্রী। এই নিয়েই মূলত ঝগড়া হতো। তার জেরেই এই ঘটনা।
আদতে নাসিক জেলার বাসিন্দা রাকেশ গানগুর্দের সঙ্গে সোনালির বিয়ে হয়েছে চার বছর। কিন্তু তাদের কোনও সন্তান নেই। রাকেশ বিএসসির পর এমবিএ পাশ করেছেন। একটি বেসরকারি সংস্থায় তিনি কাজ করতেন। তবে মাসখানেক আগে তিনি কাজ ছেড়ে দিয়ে সুরাটে অন্য একটি কোম্পানিতে যোগ দেন। এদিকে সোনালিও কম্পিউটারে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকলেও তিনি গৃহবধূ ছিলেন।
সোনালির ভাই হর্শল পাওয়ার জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে তাঁর মা ফোন করে জানান সোনালিকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরে তিনিও সোনালি-রাকেশ দুজনের ফোনেই চেষ্টা করেন। তবে যোগাযোগ করতে পারেননি।
এরপরই হর্শল ও তার তুতো ভাই সোনালির ফ্ল্যাটে পৌঁছন ও লোক ডেকে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে প্রতিবেশীরা পুলিশ ডাকার পরামর্শ দিলে শেষে পুলিশ ডাকা হয়। তারপর পুলিশই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে।
এরপরই সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে গিয়েছে রাকেশ। সোনালিকে খাটের শোওয়া অবস্থায় ও রাকেশকে নাইলনের দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দুজনের বিরোধ নিয়ে সেভাবে আত্মীয় প্রতিবেশীরা সেভাবে কোনওদিনই কিছু বুঝতে পারেননি। ফলে কেন এমন হল তা নিয়ে ধন্দ রয়েই গিয়েছে সকলের মনে।