শেষ হয়েও তামিলনাড়ুর নাটকের যবনিকা পড়ল না, আস্থাভোটের দাবি বিরোধী শিবিরের
পালানিস্বামী সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার দাবি জানালেন বিরোধী ডিএমকে নেতা এম কে স্তালিন, ২২জন বিধায়কের সমর্থন প্রত্যাহারের পর সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে বলে দাবি করুণানিধি পুত্রের
এআইডিএমকে-র দুই গোষ্ঠী এক হয়ে গেলেও নাটকের যবনিকা পড়ল না। সোমবার দিনাকরণ ঘনিষ্ঠ ১৯জন বিধায়ক তামিলনাড়ু সরকারকে সমর্থন প্রত্যাহার করার পর মঙ্গলবারই ডিএমকে কার্যকরি সভাপতি এম কে স্তালিন পালানিস্বামীকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার দাবি জানালেন।
মঙ্গলবার এম কে স্তালিন রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওকে চিঠি দিয়ে জানান, মোট ২২জন বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করার পর বর্তমান সরকার সংখ্যালঘু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে সরকার চালানো অসাংবিধানিক বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন করুণানিধি পুত্র। শুধুমাত্র পালানিস্বামীই নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আক্রমণ করেছেন স্তালিন। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী একদিকে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার সংকল্প করছেন, অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে দুই দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাকে এক করতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। সবদিক খতিয়ে দেখার পর তাঁর দল অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন স্তালিন।
[আরও পড়ুন:শশীকলার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর ফের বোমা ফাটালেন ডি রূপা]
অপরদিকে দিনাকরণ শিবিরও রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রী বদলের আবেদন জানিয়েছে। দিনাকরণ শিবিরের দাবি, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তাঁর সরকারের ওপর সাধারণ মানুষ আস্থা হারিয়েছে। আম্মার মৃতদেহ নিয়ে যে পন্নিরসেলভম ভোট চাইতে পারেন, তাঁকে পালানিস্বামী কীভাবে উপমুখ্যমন্ত্রী করলেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন শশিকলার ভাইপো দিনাকরণ।