সার্জিক্যাল অ্যাটাক: বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লাশ, বিবরণ প্রত্যক্ষদর্শীদের
নয়াদিল্লি, ৫ অক্টোবর : নিঃসন্দেহে পাকিস্তানে ভারতের সার্জিক্যাল অ্যাটাক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিশাল বড় কীর্তি। তার জন্য আম জনতার কাছ থেকে প্রশংসা কুড়লেও এবার সার্জিক্যাল অ্যাটাকের সত্যতা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এবার এই সার্জিক্যাল অ্যাটাকের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন ভারত-পাক সীমান্তের বাসিন্দারা। জনপ্রিয় এক দৈনিক সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কীভাবে ভোরের আলো ফোটার আগে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিল একাধিক দেহ। এবং ২৯ সেপ্টেম্বর ট্রাকে সেই লাশ ভরে ভরে নিয়ে গিয়ে গোপনে কবর দেওয়া হয়েছিল তার বিবরণ ধরা পড়েছে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মুখে।
ভারতের দাবি, সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে প্রায় ৭ টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এদিকে ভারতের এই সার্জিক্যাল অ্যাটাকের ঘটনাকে বেমালুম অস্বীকার করছে পাকিস্তান।
অথচ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে একাধির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ৩৮-৫০ নয়, বরং ভারতীয় অভিযাবে এর চেয়ে কম সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে জঙ্গিদের সরবরাহ এবং পরিকাঠামাগত দিক থেকে বড় ধাক্কা ভারতীয় সেনাদের এই অভিযান।
দুধনিয়ালের মূল বাজার হয়ে আল-হাওয়াই ব্রিজ পেরিয়ে সেনার আউটপোস্ট এবং একটা জায়গা রয়েছে যেটা লস্কর জঙ্গিরা ব্যবহার করে। সেখানে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
আগামীদিন ভোরবেলা চালহানা থেকে একটি ট্রাকে করে ৫-৬টা লাশ তুলে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। সম্ভভত নীলম নদীর কাছেই লস্কর শিবিরে এই লাশগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই অনুমান প্রত্যক্ষদর্শীদের। এছাড়াও খয়রাতিবাগে লস্কর ডেরায় বিস্ফোরণ হয়, আথমোকামে ভারি গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।