উৎকল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় একদিনের মধ্যেই দোষী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার নির্দেশ রেলমন্ত্রীর
একদিনের মধ্যেই উৎকল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিলেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর ।
উৎকল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় একদিনের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিলেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। কার দোষে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সেই রিপোর্ট রবিবারের মধ্যেই তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে মিত্তলকে। ইতিমধ্যেই ৩০৪ এ সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[অারও পড়ুন: মুজাফ্ফরনগর রেল দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এল এই তথ্য]
এদিকে শনিবারের দুর্ঘটনার পর চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। রেল আধিকারিকদের দাবি, অসময়ের মেরামতির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ট্র্যাক মেরামতির কথা সরকারিভাবে জানানো হয়নি। সেকারণেই ট্র্যাক মেরামতির সময়ে কোনও স্পিড লিমিটের সতর্কীকরণও দেওয়া হয়নি। রেলসূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সময় উৎকল এক্সপ্রেসের গতি ছিল ১০৬ কিমি প্রতি ঘন্টা। কিন্তু কোনও মেরামতির কাজ চলতে থাকলে সেখানে ট্রেনের গতি ১০- ১৫ কিমি-র বেশি হওয়ারই কথা নয়।
এদিকে অন্তর্ঘাতের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে আরেক রেল আধিকারিক জানিয়েছেন, উৎকল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও প্রথম ৫টি কামরা পেরিয়ে যাওয়ার পরই বাকি বগিগুলি বেলাইন হয়। ট্র্যাকে কোনও নাশকতা হয়ে থাকলে ইঞ্জিনের পরই গোটা ট্রেন বেলাইন হয়ে যাওয়ার কথা, যা ঘটেছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে। মাত্র এক ঘণ্টা আগেই ওই ট্র্যাক দিয়েই দিল্লি- সাহারনপুর ডিইএমইউ ট্রেন গিয়েছে। ফলে নাশকতার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকরা।
রবিবারও উৎকল এক্সপ্রেসের দুমড়ে- মুচড়ে যাওয়া কোচগুলি সরানোর কাজ পুরোদমেই চলেছে। এদিনও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করার পাশাপাশি ঘুরপথে চালানো হয়েছে কয়েকটি ট্রেন। তবে রাত ৯টার মধ্যেই ওই ট্র্যাক দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার আর এন সিং।