ধর্ষণ ও গর্ভপাতের মামলায় কাঠগড়ায় প্রশাসন, সরকারকে এই বিরল নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের
বিহারে এক মহিলার ধর্ষণের জেরে এইচআইভি পসিটিভ হওয়া ও তাঁর গর্ভপাত সংক্রান্ত মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের তরফে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হল রাজ্যসরকারকে।
বিহারে এক মহিলার ধর্ষণের জেরে এইচআইভি পসিটিভ হওয়া ও তাঁর গর্ভপাত সংক্রান্ত মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের তরফে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হল রাজ্যসরকারকে।আদালতের তরফে জানানো হয়েছে , যেহেতু ঘটনার সময়ে ওই ৩৫ বছর বয়সী মহিলাকে প্রশাসনের তরফে রক্ষা করা হয়নি , তাই এই করুণ ঘটনার দায়ভার নিতে হবে রাজ্যসরকারকেই। ফলে, ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলাকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার জন্য বিহার সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্ট।
বিচারপতি দীপক মিশ্র, অমিতাভ রায়, এ এম খানউইলকারের বেঞ্চ জানিয়েছে , গর্ভপাতের জন্য় আবেদনকারী ধর্ষিতা মহিলার আবেদন পাটনা হাইকোর্টে নাকচ করা হয়। রাজ্যসরকারের তরফে বিষয়টি অযথা জটিল করে তোলা হয়। যার দোষ সম্পূর্ণ রাজ্যসরকারের। পরে মহিলা সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করলেও, অনেক কাল বিলম্ব হওয়ায় তাঁর গর্ভপাতের বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, গোটা বিষয়ে যদি রাজ্যসরকার আরও একটু বেশি সচেতন হত , তাহলে এই অনঅভিপ্রেত গর্ভপাত রোখা যেত।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা মামলায় মহিলার গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করেছে বিহারের রাজ্য প্রশাসনের আইনি জটিলতা। যেখানে ধর্ষণের জেরে মহিলা এইচ আইভি পসিটিভ ও তাঁর সন্তানেরও এইচআইভি পসিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে , সেখানে কীভাবে রাজ্য সরকার এতটা উদাসীন হতে পারে, এই প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিমকোর্ট। পাশপাশি পাটনা হাইকোর্টের ও বিষয়টি নিয় আরও বেশি সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল বলে জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।