পরিবারের 'সমৃদ্ধি' হবে, কুসংস্কারের জেরে জোর করে স্কুল পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দিলেন বাবা
কিশোরী মেয়ের বিয়ে দিলে বাড়বে ধনসম্পত্তি। হায়দরাবাদের রমেশ শর্মা শুধুমাত্র এই কুসংস্কার মেনেই নিজের ১৩ বছরের মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন।
হায়দরাবাদ, ৬ ফেব্রুয়ারি : কিশোরী মেয়ের বিয়ে দিলে বাড়বে ধনসম্পত্তি। এটিই পরিবারের পরম্পরা। আর সেই পরম্পরা মেনেই কিশোর বয়সে বিয়ে দিতে হবে ছেলে মেয়ের। হায়দরাবাদের রমেশ শর্মা শুধুমাত্র এই কুসংস্কার মেনেই নিজের ১৩ বছরের মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন।[(ছবি) পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নানা কুসংস্কার]
১৩ বছরের পাত্রীর সঙ্গে ১৫ বছরের পাত্রের বিয়ে নিয়ে হায়দরাবাদে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যখন এই দুজন কিশোর কিশোরীর স্কুলে যাওয়ার বয়স, তখন তাদের হাত থেকে বইপত্র সরিয়ে কিছুটো মতের বিরুদ্ধেই বিয়ে দেওয়া হল। পরিবারের যুক্তি হিন্দু শাস্ত্রের 'বেদ'-এর নিয়ম মেনেই এই বিয়ে দেওয়া হয়ছে। যাতে পরিবারের উন্নতি- সমৃদ্ধি হয়।[(ছবি) জলের তলায় আংটি বদল, বিয়ের প্রতিজ্ঞা দম্পতির, ভারতে এই প্রথম!]
বিয়েতে প্রথম থেকেই অমত ছিল পাত্র পাত্রী দুজনেরই(বিশেষ কারণবসত প্রতিবেদনে এই দুই কিশোর-কিশোরীর নাম প্রকাশ করা হল না)। তা সত্ত্বেও মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তাদের গোপনে বিয়ে দেওয়া হয় দুই পরিবারের তরফে, বলে অভিযোগ উঠেছে। পাত্র জানিয়েছে এই বিয়ে তাকে জোর করে দেওয়া হয়। এই বিয়ে হলে পারিবারিক উন্নয়ন হবে, এমন কুসংস্কারের বশবর্তী হয়েই লুকিয়ে এই বিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি পাত্রের।[রোবটের সঙ্গে তরুণীর 'লিভ-ইন', এবার বিয়ের পালা!]
কিন্তু এমন লুকিয়ে বিয়ে দিয়েও পার পায়নি ২ টি পরিবার। দুই নাবালককে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে, বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ভারতীয় আইনে ধরা পড়েছে ঘটনায় অভিযুক্ত অভিভাবকরা। যদিও ধরা পড়ার পরও অন্যায় স্বীকার করতে নারাজ পাত্রীর বাবা রমেশ শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের ভালো করতেই কিশোরী মেয়ের বিয়ের উদ্যোগ নেন তিনি।[কলকাতায় প্রত্যেক ৬ জনের মধ্যে ১ জন মহিলা স্বামীর হাতে নির্যাতিত হন!]