খরার কবলে গোটা দক্ষিণ ভারত, সবচেয়ে সঙ্গীন অবস্থা তামিলনাড়ুর
ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জলকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করতে চলেছে। এবারের গ্রীষ্মে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জল পাওয়া নিয়ে সমস্যা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চলেছে। দক্ষিণের জলাধারগুলিতে জল প্রায় নেই বললেই চলে।
চেন্নাই, ৫ মার্চ : ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জলকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করতে চলেছে। এবারের গ্রীষ্মে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জল পাওয়া নিয়ে সমস্যা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চলেছে। দক্ষিণের জলাধারগুলিতে জল প্রায় নেই বললেই চলে। তারমধ্যে বৃষ্টিও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম।
এই অবস্থায় সবচেয়ে শোচনীয় হাল তামিলনাড়ুর। এখানকার জলাধারগুলিতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮০ শতাংশ কম জল রয়েছে। জাতীয় জল কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, তামিলনাড়ুর পরই সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অন্ধ্রপ্রদেশের। সেখানে জলের খামতি রয়েছে ৪৮ শতাংশ। কর্ণাটকে জলের খামতি ৩৭ শতাংশ ও কেরলে ৩১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র তেলেঙ্গানায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৭১ শতাংশ বেশি জল মজুত রয়েছে এই রাজ্যে।
তবে দক্ষিণের সব রাজ্য মিলিয়ে ২৭টি জলাধারে (রিজার্ভার) গত একমাসে জলের মাত্রা হুহু করে নেমেছে। ফলে আগামিদিনে পান করার জল ও সেচের কাজে জল ব্যবহারের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত হয়রানির মধ্যে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীর অববাহিকায় জলের মাত্রা গত একদশকে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই দুই নদীর জলই মূলত কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে সমস্ত কাজে ব্যবহৃত হয়। এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা যায় তা নিয়ে পরামর্শদাতা বিশেষজ্ঞদের রাজ্যগুলির কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, কাবেরী জলবণ্টন ইস্যু নিয়ে বহুদিন ধরেই কর্ণাটক-তামিলনাড়ুর মধ্যে বাদানুবাদ চলছে। গতবছরের ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে জলের অভাবে ৬০ জন কৃষক তামিলনাড়ুতে আত্মহত্যাও করেছেন।