গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ফের মমতার সরকারকে আক্রমণ পবন চামলিংয়ের
গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং।
গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। গোর্খাল্যান্ডের বিক্ষোভের ফলে বছরের পর বছর ধরে তাঁর রাজ্য চরম ক্ষতির বোঝা বহন করে চলেছে। এমনটাই অভিযোগ চামলিংয়ের।
স্বাধীনতা দিবসে সিকিমের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে চামলিং বলেছেন, একদিকে ডোকলাম ও অন্যদিকে গোর্খাল্যান্ডের বিক্ষোভ, দুইয়ের মাঝে পড়ে সিকিমের অবস্থা তথৈবচ। সিকিমের অবস্থান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে বছরের পর বছর ধরে সিকিমের প্রত্যেকটি জনগণ দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনার ন্যায় কাজ করে চলেছে। সকলে দেশসেবায় নিয়োজিত।
[আরও পড়ুন : ৬০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা চাপতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ঘাড়ে]
পবন চামলিংয়ের অভিযোগ, যখনই সীমান্তে বা পশ্চিমবঙ্গে কোনও অশান্তি হয়, তার জেরে সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত ৩৩ বছর ধরেই এমনটা হয়ে চলেছে। গোর্খাল্যান্ডের দাবির পিছনে পড়ে সিকিমের অবস্থা সঙ্কটে। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসংবেদনশীল মনোভাবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলে দাবি চামলিংয়ের।
এসবের জেরেই সিকিমে এই কয়েকবছরে অন্তত ৬০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। পাশাপাশি অন্তত ৫০ জন সিকিমবাসীর প্রাণ গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সিকিমবাসীর জন্য বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা করা হয়েছে। দিনমজুরদের মাইনে বাড়িয়ে অন্তত দিনে ৩০০ টাকা করে দেওয়া ও পঞ্চাশোর্ধ কৃষকদের পেনশনের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি অধিবাসী সরকারি সাহায্যে নিজের ঘর তৈরি করতে পারবেন বলেও এদিন সিকিম সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে।