পায়চারি, এক পেয়ালা চায়ের আড্ডায় পরমাণু চুক্তি নিয়ে সাফল্য মোদী-ওবামার
নয়াদিল্লি, ২৬ জানুয়ারি : মার্কিন রাষ্ট্রপতির দিল্লিতে পৌঁছনোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অসামরিক পরমানু চুক্তি নিয়ে মতানৈক্যে পৌছল ভারত-মার্কিন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এটি যে একটি অত্যন্ত বড় সাফল্য তা নিয়ে দ্বিধা নেই।
বছরের পর বছর ধরে জট না কাটা সমস্যার সমাধানসূত্র অবশেষে এক কাপ চায়ের আড্ডায় বেরিয়ে এল । হায়দ্রাবাদ হাউসে রবিবারের কয়েক ঘন্টা খোস মেজাজের আলোচনা, চা পান দুই দেশের নেতার। আর সেখান থেকেই বেরল সমাধানসূত্র।
এর পরেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মোদী বলেন, "ছয় বছর পরে আমরা পরমাণু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে মতানৈক্যে পৌঁছলাম। আজ আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের দেশের আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা মেনেই এই চুক্তির ভিত্তিতে বাণিজ্যিক সহযোগিতা শুরু হতে চলেছে।"
২০০৮ সালে মনমোহন নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার এই চুক্তি করে। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়া হয়নি। ভারতের আইনের বাধ্যবাধকতা মার্কিন সরকারের উদ্বেগে ভাঁটা দিয়েছিল। এই অচলবস্থা কাটানোর চেষ্টায় এতদিন পিছিয়ে পড়েছিলেন দুদেশের নেতারাই। তবে ৮ বছর পর সেই অসাধ্যসাধনই করে দেখালেন নরেন্দ্র মোদী-বারাক ওবামা।
রবিবার বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, "অসামরিক পরমাণু চুক্তি, প্রতিরক্ষা, কৌশলগত ও অর্থনৈতিক দিকগুলি নিয়ে জট কেটেছে। গত কয়েক বছর ধরে ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমাণু চুক্তি নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছি, তা দূর হয়েছে। চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। পরমাণু দায়বদ্ধতা নিয়ে যে দুটি জটিল ধারা ছিল সেই নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনো গিয়েছে।"