গভীর রাতের পার্টি আর একাধিক নারীসঙ্গই ছিল পিটার মুখার্জীর জীবন, অভিযোগ প্রাক্তন স্ত্রীর
নয়াদিল্লি, ২১ জুলাই : প্রাক্তন মিডিয়া ব্যারন তথা শিনা বোরা হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত পিটার মুখার্জীর জীবনে ছিল শুধুই গভীর রাতের পার্টি ও কমবয়সী নারীসঙ্গ। এর বাইরে পিটারের জীবনে আর কিছু ছিল না বলে সিবিআইয়ের কাছে বয়ান দিয়েছেন এক মহিলা। ঘটনাচক্রে যিনি পিটার মুখার্জীর প্রাক্তন স্ত্রী, নাম শবনম। [শিনাকে খুনের পরের দিনই কলকাতায় পার্টি দেন ইন্দ্রাণী!]
পিটার চাইত সবসময় যেন কমবয়সী মেয়েরা তাকে ঘিরে থাকে। গভীর রাতের পার্টি ভালোবাসত পিটার ও করতও। তার জীবনে একাধিক নারীসঙ্গও ছিল। আর সেজন্যই আমি সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলাম। সিবিআইয়ের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন পিটার মুখার্জীর প্রাক্তন স্ত্রী শবনম। [ঠিক কী কারণে শিনাকে খুন করে ইন্দ্রাণী? জেনে নিন ড্রাইভারের বয়ান]
সিবিআইয়ের কাছে তিনি গোপন সাক্ষী হিসাবে নানা কথা বলেছেন। আদালতেও সাক্ষীর বক্তব্য জমা দেওয়া হয়েছে। এবং আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শবনম জানিয়েছেন, তাঁদের বিচ্ছেদের পরে পিটার ইন্দ্রাণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় করান। ইন্দ্রাণীকে নিজের প্রেমিকা হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন পিটার। [ইন্দ্রাণী মুখার্জীর এই ছবিই ভাইরাল স্যোশাল মিডিয়ায়]
পিটার জানিয়েছিলেন, তারা দুজনে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চলেছেন। সেকথা শুনে তিনি ব্যঙ্গ করে পিটারকে শুভেচ্ছা জানান। তাঁর মতে, আমি জানতাম আগের সব প্রেমিকাদের মতো একেও ঠকাবে পিটার। কারণ একাধিক নারীসঙ্গই পিটারের ভালোলাগত। [জেলে বসেই জেলবন্দি ইন্দ্রাণীকে প্রেমপত্র পিটার মুখার্জীর!]
যদিও এসব বক্তব্যের কড়া বিরোধিতা করেছেন পিটারের আইনজীবী মহির ঘিওয়ালা। কারও চরিত্র ফৌজদারী আইনে ধর্তব্যের মধ্যেই আনা হয় না বলে জানিয়েছেন তিনি। সিবিআই আর কোনও পোক্ত প্রমাণ না পেয়ে এসব যুক্তি খাড়া করতে চাইছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ১৯৭৮ সালে বিয়ে হয় পিটার মুখার্জী ও শবনমের। ১৯৯৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তাদের দুই ছেলে রাহুল ও রবিন। বিচ্ছেদের পরে ইংল্যান্ড চলে যান শবনম।