গবাদি পশু নিয়ে কেন্দ্রকে 'সুপ্রিম' ধাক্কা
গবাদি পশু কেনা বেচা নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিমকোর্টের, কেন্দ্র নিয়মে সংশোধন করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে স্থগিতাদেশ ।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিমকোর্টেও ধাক্কা খেল কেন্দ্রের গবাদি পশু কেনা-বেচা সংক্রান্ত নির্দেশিকা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় তিন মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
গত ২৩শে মে গবাদি পশু কেনা- বেচার ওপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে নয়া একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়, পশু বাজারে গবাদি কেনা বা বিক্রি করার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে এই পশুকে হত্যার উদ্দেশ্যে কেনা বা বিক্রি করা হচ্ছে না। এরপরই দেশজুড়ে এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব হন মাংস ব্যবসায়ীরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে বহু মানুষের জীবিকায় টান পড়বে বলে জানিয়ে দেয় পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারও। এই নির্দেশিকা জারির এক সপ্তাহের মধ্যেই একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার ওপর চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ।
মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টে এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেহেতু মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে, তাই এই নির্দেশিকা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে না। আপাতত বিভিন্ন সংগঠনের মতামত ও বক্তব্য শুনছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে অগাস্টের শেষে নিয়মে সংশোধন করে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। বিভিন্ন রাজ্যে পশু বাজার ও গবাদি পশুর সংখ্যা নির্ধারণ করতে তিন মাস সময় লেগে যাবে বলে আদালতে জানান অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল। এরপরই সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সংশোধিত নিয়মের বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা যে এরাজ্যে মানা হবে না, তা অনেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেরল ও মেঘালয় সরকারও কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা কার্যকর না করতে অধিবেশনে বিশেষ প্রস্তাব পাশ করিয়েছে।