বিজেপির সমর্থনে মুখ্য়মন্ত্রী হয়েই বেকায়দায় নীতীশ, বিস্তারিত দেখুন
বিজেপির সমর্থনে মুখ্য়মন্ত্রী হয়েই বেকায়দায় পড়লেন নীতীশ কুমার। বিহার বিধান পরিষদ থেকে নীতীশ কুমারের সদস্য পদ খারিজের আবেদন শুনতে মঙ্গলবার সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
বিজেপির সমর্থনে মুখ্য়মন্ত্রী হয়েই বেকায়দায় পড়লেন নীতীশ কুমার। বিহার বিধান পরিষদ থেকে নীতীশ কুমারের সদস্যপদ খারিজের আবেদন শুনতে মঙ্গলবার সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি দীপক মিশ্র, অমিতাভ রায় এবং এএম খানউইলকরের বেঞ্চ জানিয়েছে যে তাঁরা এই আবেদন শুনতে চান। আবেদনকারীর আইনজীবী এমএল শর্মার দাবি,ঝুলে থাকা খুনের অভিযোগ রয়েছে তা বেমালুম নির্বাচন কমিশনের কাছে চেপে গিয়েছেন নীতীশ কুমার।
সোমবার
দেশের
সর্বোচ্চ
আদালতে
বিহারের
মুখ্যমন্ত্রীর
বিরুদ্ধে
ফৌজদারি
মামলা
দায়ের
হয়।
১৯৯১-এর
নভেম্বরে
ব্রার
লোকসভা
কেন্দ্রের
উপনির্বাচনের
আগে
সীতারাম
সিং
নামক
স্থানীয়
এক
কংগ্রেস
কর্মীকে
হত্যা
ও
আরও
চার
জনকে
আহত
করার
দায়ে
অভিযুক্ত
নীতীশ
কুমার,
এমনটাই
দাবি
করা
হয়েছে
ওই
আবেদনে।
একই
আবেদনে
গোটা
ঘটনায়
এফআইআর
করে
সিবিআই
তদন্তেরও
আবেদন
করা
হয়েছে
এবং
নির্বাচন
কমিশনের
২০০২
নির্দেশ
অনুসারে
নীতীশের
সদস্যপদ
বাতিল
করার
দাবি
জানানো
হয়েছে।
নির্বাচন
কমিশনের
২০০২
নির্দেশ
অনুসারে,
প্রার্থীকে
মনোনয়নের
সঙ্গে
জমা
দেওয়া
হলফনামায়
আবশ্যিকভাবে
ফৌজদারি
অভিযোগ
থেকে
থাকলে
তা
উল্লেখ
করতে
নির্দেশ
দেওয়া
হয়েছে।
২৭ জুলাই লালুপ্রসাদ যাদব নির্বাচন কমিশনের দেওয়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা ট্যুইট করেন। নীতীশ কুমার তার বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মামলার যে তালিকা নির্বাচন কমিশনে দিয়েছিলেন, ট্যুইটে সেটাই তুলে ধরেন লালুপ্রসাদ যাদব। একইসঙ্গে, লালু ট্যুইটে নীতীশের বিরুদ্ধে থাকা হত্যার মামলার প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন।
नीतीश के खिलाफ पब्लिक को गोली मारने का मामला है। स्वयं उसने affidavite में माना है। वह कंबल ओढ़ कर घी पी रहे है। पढ़िए pic.twitter.com/MUmOkKgV3q
— Lalu Prasad Yadav (@laluprasadrjd) July 27, 2017
১৯৯১-এর সেই হত্যা মামলায় নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩০৭ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল। যার অর্থ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এই মামলা দুর্নীতির থেকেও বড় বলে জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারের পদত্য়াগের দিন মন্তব্য করেছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব।
বিহারের মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করে রাতারাতি বিজেপির সমর্থন নিয়ে পরদিন সকালেই পুনরায় বিহার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ায় পাটনা হাইকোর্টে গোটা বিষয়টার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন লালুর দলের এক বিধায়ক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।