'কোনওদিন রাজনীতিতে আসব না', জয়ললিতাকে কথা দিয়েছিলেন শশীকলা : পন্নিরসেলবম
জয়ললিতাকে লেখা শশীকলার একটি চিঠি পড়ে শুনিয়েছেন পন্নিরসেলবম। সেখানে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন শশী। এবং কথা দিয়েছেন কোনওদিন রাজনীতিতে আসবেন না ও প্রভাব খাটাবেন না।
চেন্নাই, ১০ ফেব্রুয়ারি : এআইএডিএমকে নেতৃত্বের মধ্যে সঙ্কট অব্যাহত। কে বসবেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী গদিতে, শশীকলা নটরাজন নাকি ও পন্নিরসেলবম তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। আর এসবরে মাঝেই যুযুধান দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছে।[শশীকলা vs পন্নিরসেলবম লড়াই : অন্য ভয়ে ত্রস্ত এআইএডিএমকে কর্মী-সমর্থকেরা]
বৃহস্পতিবার শশীকলা নটরাজন রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সরকার গঠনের আর্জি জানান। এদিকে পন্নিরসেলবমও তার আগে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। এবং বেরিয়ে যথারীতি চিনাম্মা শশীকলার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।[হোটেল বিলাস, মাসাজ, ওয়াটার স্কি-তে মজে এআইএডিএমকে বিধায়করা]
শশীকলার মতো পন্নিরসেলবমও এআইএডিএমকে নেতা ও বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিক সম্মেলেন করেন। সেই দলে ছিলেন ই মধুসুধনের মতো নেতা যিনি এমজি রামচন্দ্রণের পর জয়ললিতার সঙ্গেও কাজ করেছেন দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে।[বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনদিকে গড়াতে পারে তামিলনাড়ু রাজনীতি? চারটি সম্ভাবনা]
সেখানেই জয়ললিতাকে লেখা শশীকলার একটি চিঠি পড়ে শোনান পন্নিরসেলবম। সেখানে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন শশী। এবং কথা দিয়েছেন কোনওদিন রাজনীতিতে আসবেন না ও প্রভাব খাটাবেন না।[শশীকলার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দক্ষিণী নায়ক কামাল হাসান]
২০১১ সালের শেষের দিকে নিজের পয়েজ গার্ডেনের বাড়ি ও দল থেকে শশীকলাকে বের করে দেন জয়া। তবে কিছুমাসের মধ্যেই ফিরিয়ে আনেন। অভিযোগ উঠেছিল, জয়ললিতাকে সামনে রেখে শশীকলা ও তার পরিবার রাজনৈতিক ও আর্থিক সুযোগসুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করেছে।
সবকিছুই ঠিক চলছিল। শশীকলা মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে পন্নিরসেলবম ইস্তফাও দিয়ে দেন। তবে হঠাৎ করে মঙ্গলবার তিনি বিদ্রোহী হয়ে ঘোষণা করেন যে তাঁকে বাধ্য হয়ে ইস্তফা দিতে হয়েছে। শশীকলা জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দখল করতে চাইছেন। এদিকে পন্নিরসেলবমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ডিএমকের প্রভাবে এসব দলবিরোধী কাজ করছেন।