শশীকলার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর ফের বোমা ফাটালেন ডি রূপা
বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলেই তিনি নিজের জন্য একটি প্রাইভেট করিডরও তৈরি করিয়েছেন শশীকলা। তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের জন্য ৫টি সেল বরাদ্দ, দুর্নীতি দমন শাখায় চিঠি দিয়ে নতুন করে অভিযোগ ডি রূপার ।
শুধুমাত্র জেল থেকে আসা - যাওয়াই নয়, শশীকলা নটরাজন বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলেই তিনি নিজের জন্য একটি প্রাইভেট করিডরও তৈরি করিয়েছেন। এই করিডোর প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ ফিট দীর্ঘ। শশীকলার জেল থেকে ঢোকা -বেরনোর সিসিটিভি ফুটেজ দুর্নীতি দমন শাখার হাতে তুলে দেওয়ার পর মঙ্গলবার ফের বোমা ফাটালেন প্রাক্তন ডিআইজি (কারা) ডি রূপা।
[আরও পড়ুন: জেলের মধ্যেও 'রানির' হালে শশিকলা, সিসিটিভি ফুটেজ ঘিরে তোলপাড় দক্ষিণী রাজনীতি]
অ্যান্টি কোরাপশান ব্যুরোর আইজিকে চিঠিতে ডি রূপা জানিয়েছেন, এই লম্বা করিডোরের দুই প্রান্তে ব্য়ারিকেড দেওয়া রয়েছে। সেখানে যাওয়ার অনুমতি অন্যকোনও বন্দির নেই। এই করিডোরের দুধারে মোট ৫টি সেল রয়েছে। এই সেলগুলিতে শশীকলার ব্য়ক্তিগত জিনিসপত্র যেমন জামা- কাপড়, বিছানা, রান্নার সরঞ্জাম, টেবিল, ইলেক্ট্রিক কুকার, ওয়াটার পিউরিফায়ার ইত্যাদি থাকে।
#WATCH CCTV footage given to ACB by then DIG(Prisons) D Roopa, alleges Sasikala entering jail in civilian clothes in presence of male guards pic.twitter.com/2eUJfbEUjD
— ANI (@ANI) August 21, 2017
এছাড়াও একটি আলাদা মিটিং রুমও বরাদ্দ করা হয়েছে শশীকলার জন্য। বিলাসবহুল এই ঘরেই শশীকলা বাইরের লোকেদের সঙ্গে দেখা করেন। এই ঘরের চারদিক এমনভাবে পর্দা দেওয়া থাকে যে ভেতরে কী হচ্ছে, বা তাঁরা কী কথা বলছেন তা বাইরে থেকে জানার কোনও উপায় নেই। শশীকলা যে সেলে থাকেন, সেখানে একটি আরামদায়ক গদি ও একটি নতুন এলইডি টিভি দেওয়া হয়েছে বলেও হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন ডি রূপা। তাঁর স্বাস্থ্যজনিত কারণেই তাঁকে আরামদায়ক বিছানা দেওয়া হয়েছে কিনা তা হাইকোর্টকে জানানো হয়নি। এবিষয়ে আদালতের কোনও অনুমতিও নেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে ।
ডি রূপার দাবি, জেলের মধ্যে এভাবে কোনও বন্দিকে বিশেষ সুযোগ সুবিধে পাইয়ে দেওয়া শুধুমাত্র আদালত অবমাননাই নয়, সংবিধানের ১৪ নং ধারাকে লঙ্ঘন করার সামিলও।