কাশ্মীরে পাথরবাজ যুবকদের 'বেতন' এই পরিমাণে বাড়িয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, গোয়েন্দাদের চাঞ্চল্যকর তথ্য
৩০০ কোটি টাকা কোনও কম কথা নয়!এই পরিমাণ টাকা প্রতি মাসে কাশ্মীর উপত্যকায় ঢুকছে এই অঙ্কের টাকা
৩০০ কোটি টাকা কোনও মুখের কথা নয়! এই পরিমাণ টাকা প্রতি মাসে কাশ্মীর উপত্যকায় ঢুকছে এই অঙ্কের টাকা। এই টাকা দিয়েই ক্রমাগত কাশ্মীরে অশান্তি জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে জঙ্গি সংগঠনগুলি তথা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ২০১৬ সালের তুলনায় প্রচুর পরিমাণে রাতারাতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে টাকার পরিমাণ। গোয়েন্দা সূত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
জঙ্গিসংগঠনগুলিকে এই পরিমাণ টাকা দিয়ে সাহায্য করায় যথেষ্ট মদত রয়েছে পাকিস্তানের। এমনটাই বিশেষ সূত্রের খবর। ২০১০ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়ার জন্য যুবকদের মাথা পিছু ২০০ টাকা করে দেওয়া হত। তারপর সেই টাকার অঙ্ক বেড়ে গিয়ে ১০০০ হয়ে যায়। প্রতিটি বিক্ষোভে সেনার ওপর পাথর ছোঁড়ার জন্য যুবকরা ১০০০ টাকা পেতে শুরু করেন।
এরপর , ভারতীয় সেনার জঙ্গি দমন অভিযানে, এনকাউন্টারের সময় সেনার ওপর পাথর ছোঁড়ার জন্য তাঁরা পেতে থাকেন ২, ০০০ টাকা করে। প্রতিটি পাথরবাজ যুবক, বিক্ষোভ পিছু ২০০০ টাকা করে পেতে থাকেন। সাম্প্রতিককালে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির এক তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে। হুরিয়তের জঙ্গি শিবিরে বিনিয়োগের অর্থ বিষয়ক তল্লাশিতে এই তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
কাশ্মীরে প্রতিটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর একটি করে পাথরবাজ সংগঠন রয়েছে। যাদের হাতে টাকা দিলেই, তারা সেনার ওপর পাথর নিয়ে চড়াও হয়ে যায়। গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। দুটি স্তরে এই পাথরবাজদের ভাগ করে রেখে অপরেশন চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। একটি দল এনকাউন্টারের সময়ে সেনাকে লক্ষ্য় করে পাথর ছোঁড়ে। এদের বেশি গুরুত্ব দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। অন্য দলটি রাস্তাঘাটে বিক্ষোভ প্রদর্শনে পাথর ছোঁড়ার বদলে চাকা পেয়ে থাকে।