কয়েক বছরে সম্পত্তি বেড়েছে ১৩০০ কোটি টাকা! আয়কর দফতরের কড়া নজরে মায়াবতীর ভাই!
২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মায়াবতীর ভাই আনন্দকুমারের সম্পত্তি ৭.৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩১৬ কোটি টাকায়। কীভাবে এত কম সময়ে শ্রীবৃদ্ধি তদন্ত করছে আয়কর দফতর।
নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি : দেশের তাবড় তাবড় শিল্পপতিদের মধ্যে নাম নেই তাঁর। চলনে বলনে কেউ বলবে না তিনি কোটি কোটি শহরের শিল্পপতিদের সম্পত্তির নিরিখে টেক্কা দিতে পারেন। ১৩১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে এখন আয়কর দফতরের কড়া নজরে মায়াবতীর ভাই আনন্দ কুমার।[নোট বাতিলের পর থেকে মায়াবতীর পার্টি অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ১০৪ কোটি!]
২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মূলত দিদি মায়াবতী যখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখনই আনন্দ কুমারের পোয়া বারো হয়েছে। মাত্র ৭ বছরে তার সম্পত্তি ৭.৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩১৬ কোটি টাকায়।
মিডিয়া সূত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই সম্পত্তির তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে ভুয়া সংস্থা, রহস্যজনক কোটি টাকার ঋণ, বিশাল পরিমান টাকার বিনিয়োগের মতো বেশ কিছু তথ্য। [ছিঃ! মায়াবতীকে 'পতিতা' আখ্যা উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সহ সভাপতির]
এরমধ্যে আয়কর দফতরের নজরে রয়েছে, আকৃতি হোটেল প্রাইভেট লিমিটেড। দিল্লির এই সংস্থার ৩ জন ডিরেক্টর এবং প্রায় ৩৭ জন ইকুইটি শেয়ারহোল্ডার রয়েছে, কিন্তু কোনওটাই বৈধ নয়। শেয়ারহোল্ডারের তালিকায় এমন বেশকিছু ফার্ম রয়েছে যার আসলে কোনও অস্তিত্ব নেই শুধুমাত্র কাগজে কলমে রয়েছে। [উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে এবার মায়াবতী বনাম রাখি সাওয়ন্ত?]
তদন্তে দেখা গিয়েছে এই ভুয়া সংস্থাগুলি মহারাষ্ট্র কলকাতার একই বিল্ডিং থেকে পরিচালনা করা হয়। এবং এই সংস্থাগুলির ডিরেক্টরের তালিকাও একই। এই সমস্ত ভুয়া সংস্থাগুলির মাধ্যমে টাকার নয়ছয় করা হয়েছে।
মায়াবতীর ভাইয়ের সম্পত্তির আচমকা উত্থানের উপর তদন্ত চালাচ্ছে আয়কর দফতর।