সাবধান! দশ টাকার কয়েন আপনাকে দেশদ্রোহী বানাতে পারে
গত ২-৩ মাস ধরে ক্রমাগত ১০ টাকার কয়েন জমিয়ে যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের বাসিন্দা পুলকিত শর্মা। জমাচ্ছেন বললে ভুল হবে, জমাতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি হাটে-বাজারে গেলেই খুচরোর বদলে অনেকে ১০ টাকার কয়েন ধরিয়ে দিচ্ছিলেন। তবে সেই কয়েন দিয়েই কিছু কিনতে গেলে দোকানদার আর সেই কয়েন নিতে রাজি নয়। ফলে পুলকিতের বাড়িতে দশ টাকার কয়েনের ভিড় জমছিল। [এবার বাজারে এল 'শূন্য' টাকার নোট!]
তবে এবার বোধহয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন তিনি। কারণ পিলভিটের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কড়া হুকুম জারি করে বলেছেন, কেউ যদি ১০ টাকার কয়েন প্রত্যাখ্যান করে তাহলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হবে। [যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগের পুরনো মুদ্রা উদ্ধার হল ভারতে]
ঘটনা হল, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেজের মাধ্যমে কেউ বা কারা গুজব ছড়িয়েছে যে দস টাকার কয়েন সরকার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে এর মাধ্যমে কোনও কেনা-বেচা করা যাবে না। আর সেই শুনেই অনেকে কয়েন নিতে চাইছেন না। ফলে এমন নির্দেশ জারি করতে বাধ্য হয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। [এই লক্ষণগুলি থাকলে আপনি কখনও ধনী হতে পারবেন না]
তিনি জানিয়েছেন, ১০ টাকার কয়েন আমাদের দেশের মুদ্রা। ভারত সরকার তা বাজারে ছেড়েছে। আরবিআইয়ের নিয়মানুযায়ী যিনি এটি নিতে অস্বীকার করবেন তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যাবে। [পুরনো বইয়ের ভাঁজে রাখা ১ লক্ষ টাকা কাগজওয়ালাকে দিয়ে দিলেন এক গৃহবধূ!]
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ভারতীয় বাজারে আরবিআই এই দশ টাকার মুদ্রা ছেড়েছিল। এটি তুলে নেওয়ার কথা কোথাও বলা হয়নি। বরং যারা এটিকে অস্বীকার করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের সংস্থান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।