কর্নাটক নিয়েও আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ, কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা তাঁর কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে
কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক সমীক্ষা কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে অমিত শাহের, সমীক্ষার রিপোর্ট বলেছে এগিয়ে কংগ্রেসই।
সামনের বছরই কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা যা বলছে তাতে বিজেপির খুব একটা নিশ্চিন্তে থাকার বা খুশি হওয়ার কোনও কারণ নেই। সি ফোর নামে একটি সংস্থার সমীক্ষায় উঠে আসছে, যদি আগামিকালই নির্বাচন হয় তাহলে কংগ্রেসই জিতবে, দ্বিতীয় স্থান নিয়েই বিজেপিকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
জুলাই মাসের ১৯ তারিখ থেকে অগাস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত কর্নাটকে সমীক্ষায় চালায় সি-ফোর নামে এই সংস্থাটি। তাতে বোঝা যাচ্ছে, যদি এখুনি নির্বাচন হয় তাহলে ২২৫ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস ১২০ - ১৩২টি আসন দখল করবে। তবে গতবারের তুলনায় এবার কিছুটা ভাল করবে বিজেপি, তাদের ঝুলিতে আসতে পারে ৬০-৭২ টি আসন। তৃতীয় স্থানে শেষ করবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচি ডি দেবেগৌড়ার দল জনতা দল সেকুলার।
ভোট শতাশের দিক দিয়ে দেখতে গেলে কংগ্রেস পাবে ৪৩ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেতে পারে ৩২ শতাংশ ভোট ও জেডিএস -র ভাগ্যে জুটবে ১৭ শতাংশ ভোট।
১৬৫টি কেন্দ্রের প্রায় ২৫ হাজারের ভোটারের ওপর সমীক্ষা করে সি- ফোরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার চালু করা অন্যভাগ্য প্রকল্প ও মিড ডে মিল সাধারণ মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পানীয় জলের অভাব, বেহাল রাস্তা-ঘাট, বেকারত্ব নিয়ে কিন্তু মানুষের মনে ক্ষোভও রয়েছে।
অপরদিকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কিন্তু কর্নাটকেও সরকার গড়া নিয়ে একইরকম আত্মবিশ্বাসী। দিন কয়েক আগেই তিনদিনের কর্নাটক সফরে গিয়ে তিনি দাবি করেন, ২০১৮ তেই কর্নাটকও কংগ্রেস- মুক্ত রাজ্য হবে। তিনি নাকি সাধারণ মানুষের মন বুঝতে পারছেন বলেও মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ।
অবশ্য় সি- ফোরের সমীক্ষায় কংগ্রেসই এগিয়ে থাকলেও হাতে এখনও সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিজেপি খেলা ঘোরাতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।