কয়েদখানায় জীবনের মোহ কেটেছে রাজীব হত্যাকারীর, স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে এবার করল আবেদন
দীর্ঘ ২৭ বছর জেলবন্দি সে। জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে বাঁচার ইচ্ছেটাই চলে গিয়েছে। রবার্ট পিওস স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছে সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষের কাছে।
দীর্ঘ ২৭ বছর জেলবন্দি সে। জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে বাঁচার ইচ্ছেটাই চলে গিয়েছে। আর সেজন্যই রাজীব গান্ধি হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রবার্ট পিওস স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছে সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষের কাছে।
রবার্ট পিওস জানিয়েছে , ২৭ বছরের বন্দি জীবনের পর জীবনের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছে সে । পাশপাশি ,এখন আর তাকে দেখতে জেলে তার পরিবারের কেউ আসেননা। তার বিষয়ে সরকারের মনোভাবও স্পষ্ট নয়,বলে দাবি করেছে রবার্ট পিওস। ফলে সব মিলিয়ে বােঁচে থাকার আর ইচ্ছে নেই তার।
১৯৯৯ সালে রবার্টকে সাজা দেওয়ার সময়, বিচারক পিওসকে দোষী সাব্যস্ত করেও বলেছিলেন রবার্ট পিওস নিষ্পাপ কিন্তু তাকে জেলবন্দি হতে হবে। পুরনো এইসব কথা এখনও জেলে বসে মনে করে রবার্ট। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরাম্বুরে এক জনসভায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি। ঘটনায় তামিল টাইগার রবার্ট পিওস সহ ৭ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এদের মধ্যে অন্যতম ছিল রবার্ট পিওস।
উল্লেখ্য, এই রবার্ট পিওস একজন LTTE কমান্ডো। প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার ছকে রবার্ট পিওসও যুক্ত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে সে। পিওস ছাড়াও এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা শান্তন, নলিনী, তাঁর স্বামী মুরুগানের ফাঁসির সাজা হয়। পরে অবশ্য এই ৩ জনকে সেই সাজার পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।