রাজস্থানের পাঠ্য বইয়ে পড়ুয়াদের উদ্দেশে 'মা' গরু-র খোলা চিঠি!
জয়পুর, ১০ মে : হিন্দু ধর্মে গরুকে গোমাতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাবলে কখনও ভেবে গরু নিজেকে মা ব্যাখ্যা করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের চিঠি লিখবে? ['প্রফেশনাল কোর্স'-এর পরীক্ষায় অ্যাডমিট কার্ড পেল 'গরু'!]
হিন্দুত্ব ভাবধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার সেই অকল্পনীয় ভাবনাকেই বাস্তব করে দেখাল রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজের সরকার। রাজস্থান একমাত্র রাজ্য যেখানে সরকারি স্কুলের পাঠ্য বইয়ে একটি নতুন অধ্যায় সংযুক্ত করা হল যেখানে গরু 'মা' হিসাবে খুদে ছাত্রছাত্রীদের একটি খোলা চিঠি লিখেছে। [গো-বলয়ে মদ্যপ প্রৌঢ়ের হাতে ধর্ষিত গোয়াল পালানো 'গরু']
পঞ্চম শ্রেনীর হিন্দি ভাষার পাঠ্য বইয়ে এই অধ্য়ায়টি যোগ করেছে সরকার। এই অধ্যায়ের ছবি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে একটি বড় গরুর ছবি, যার মধ্যে একাধিক হিন্দু দেবদেবীর ছবি রয়েছে। যদি মানুষ গরুকে 'মা' হিসাবে বিবেচনা করে তাহলে কতধরনের সুবিধা তারা পেতে পারে তার প্রাসঙ্গিকতা হিসাবেই এই ছবি। [গরুর হৃৎপিন্ডে নতুন প্রাণ ফিরে পেলেন ৮১ বছরের বৃদ্ধা]
এই অধ্যায়ে পড়ুয়াদের 'আমার ছেলে ও মেয়ে' সম্বোধন করেছেন 'গোমাতা'! এবং চিঠিতে লিখেছেন, "আমি প্রত্যেক ব্যক্তিকে শক্তি, বুদ্ধি, দীর্ঘায়ু , স্বাস্থ্য, আনন্দ, সুখ দিই। যারা আমাকে মা মনে করে বা বিবেচনা করে আমি তাদের নিজের সন্তানে মতোই ভালবাসি।" [বাছুরের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করে এইমসে ভর্তি যুবক]
শুধু নয় নয়, এই চিঠির মাধ্যমে সমাজের প্রতি গরুর অবদান ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, "আমি দুধ, ঘি, মাখনের মাধ্যমে জীবনের স্পর্শমণির উৎপাদন করি। আমার মূত্র ও গোবর থেকে ঔষধি, সার এবং কীটনাশক তৈরি হয়। আমার সন্তানরা বাছুর তোমাদের কৃষিতে সহায়তা করে। আমি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে পরিবেশকে শুদ্ধ করি।"
এই প্রসঙ্গে গোপালন মন্ত্রী ওতারাম দেওয়াসি জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ ও অধ্যায়ের মাধ্যমে আরও বেশি করে গরুর উপযোগিতার ইতিবাচক সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।