পুরনো বইয়ের ভাঁজে রাখা ১ লক্ষ টাকা কাগজওয়ালাকে দিয়ে দিলেন এক গৃহবধূ!
জয়পুর, ২৯ জুলাই : সংসারে প্রয়োজনে স্বামী এক লক্ষ টাকা ধার করে এনেছিলেন। এত টাকা একসঙ্গে আলমারীতে রাখতে সাহস হয়নি স্বামীর। সেই টাকা পুরনো বইয়ের ভাঁজে রেখেছিলেন তিনি। এদিকে স্ত্রী বাড়ি পুরনো কাগজপত্র ও বই বেচবেন বলে কাগজওয়ালাকে ডেকে সেই টাকা ভর্তি বইটিই দিয়ে দিলেন। গোটা ঘটনাটিই ঘটল স্বামী ও স্ত্রী দুজনেরই অজান্তে। [নিজের পুত্রসন্তানকে বিক্রি করে দুটি ছাগল কিনলেন মা!]
তবে আশ্চর্যের এখানেই শেষ নয়। বইয়ের ভাঁজে রাখা টাকা যে কাগজওয়ালাকে দিয়ে দিয়েছেন তা জানতেন না রাজস্থানের হনুমানগড়ের বাসিন্দা শান্তি ভাদু। এদিকে স্ত্রীর কীর্তি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি কিশোর ভাদু। [বাজারে এল 'শূন্য' টাকার নোট!]
তাঁরা জানতে পারলেন পরেরদিন যখন দুই কাগজওয়ালা সুরেন্দ্র ও শঙ্কর বর্মা বাড়ি বয়ে এসে এক লক্ষ টাকা ফেরত দিলেন ভাদু দম্পতিকে। তখন তাঁরা জানতে পারলেন বাড়িতে বইয়ের ভাঁজে থাকা টাকা হাত ঘুরে অন্যের কাছে চলে গিয়েছিল। [২ বছরে ৩ জোড়া যমজ সন্তানের মা হলেন এক মহিলা]
ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার। বাড়ি বাড়ি এসে কাগজ কিনে নিয়ে যান সুরেন্দ্র ও শঙ্কর। সেদিনও তারা কিশোর ভাদুর বাড়ি যান। ৫ টাকা প্রতি কিলো দরে পুরনো কাগজের সঙ্গে পুরনো বইও বিক্রি করে দেন কিশোর পত্নী শান্তি। তিনি টাকা থাকার বিষয়টি জানতেন না। কারণ কিশোর তাঁকে এই বিষয়ে কিছু জানাননি। [জাপানের এই রেস্তরাঁয় খেতে হলে হতে হবে নগ্ন!]
পুরনো কাগজ নিয়ে বাড়ি চলে যান সুরেন্দ্ররা। এরপর বাড়িতে ঝাড়াই-বাছাইয়ের সময়েই নজরে আসে বইয়ের ভিতরে রাখা ১০০ ও ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। সুরেন্দ্রদের কথায়, এরপরে সারারাত ঘুমোতে পারিনি আমরা। ভাবতে থাকি কার থেকে আমরা টাকা আনলাম।
এরপর সকাল হতেই যে যে বাড়ি থেকে সুরেন্দ্র ও শঙ্কর কাগজ কিনেছিল তাদের বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে থাকে। নোট যে বইয়ে ছিল, তার উপরে শালু পুনিয়া নামে একজনের নাম লেখা ছিল। এই শালুর নাম ধরে খোঁজ নেওয়ার পরেই জানা যায়, কিশোর ভাদুর নাতনির নাম শালু।
এরপরই এক লক্ষ টাকার বান্ডিল নিয়ে কিশোর ও শান্তির বাড়িতে চলে গিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে আসেন সুরেন্দ্র ও শঙ্কর নামে দুই কাগজবিক্রেতা। ঘটনা হল, নিজেদের টাকা ফেরত পাওয়ার আগে পর্যন্ত ভাদু দম্পতি জানতেন না তাদের বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা খোওয়া গিয়েছে।
ঘটনা জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান দুজনে। বারবার ধন্যবাদ জানান সুরেন্দ্র ও শঙ্করের মহানুভবতাকে। দরিদ্র কাগজবিক্রেতা হয়েও যেভাবে লক্ষ টাকা তাঁরা ফেরত দিলেন তা তুলনাহীন।