রেল বাজেট ২০১৫: রাজনৈতিক নেতাদের কার কী প্রতিক্রিয়া!
নয়াদিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি : যাত্রীবাড়া তো বাড়েনি, বাড়েনি ট্রেনের সংখ্যাও। এই প্রথমবার নয়া প্রকল্প ও নয়া ট্রেন ছাড়াই পেশ হল রেল বাজেট ২০১৫-১৬। পেশ করলেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। কেমন হয়েছে রেল বাজেট। কী বলছেন রাজনৈতিক নেতারা আসুন দেখে নেওয়া যাক।
নরেন্দ্র মোদী (প্রধানমন্ত্রী) - এই রেল বাজেট দুরদৃষ্টিমূলক, যাত্রীকেন্দ্রিক বাজেট। আর বাস্তবায়নের জন্য স্পষ্ট চিন্তা ও নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও রয়েছে।
মল্লিকার্জুন খা্রগে (কংগ্রেস) - এটি একটি কাল্পনিক বাজেট। এই বাজেটের কোনও বাস্তবিকতাই নেই। কাল্পনিক পরিকল্পনাতেই ভর্তি বাজেট বক্তৃতা এই বাজেটের বাস্তবায়ন অসম্ভব।
নীতিশ কুমার (সংযুক্ত জনতা দল) - আশা করেছিলাম রেলের ভাড়া কমানো হবে। সেটা হল না।
গুরুদাস দাশগুপ্ত (সিপিআই) - রেল বাজেটে নতুন কিছুই নেই। এটা একটি অতি সাধারণ মানের বাজেট। পুরনোরই পুরনরাবৃত্তি।
পবন বনশল (কংগ্রেস) - এই বাজেট আমাকে হতাশ করেছে। ভেবেছিলাম যাত্রীভাড়া কমানো হবে। আমি নতুন কিছুই এই বাজেট থেকে পেলাম না। যা আগে থেকে ছিল তাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দীনেশ ত্রিবেদী (তৃণমূল কংগ্রেস) - এটা রেলবাজেট নাকি? অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেগুলি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা নিয়ে সেভাবে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু যা আছে ভবিষ্যেতর জন্য, বর্তমানের জন্য কিছুই নেই। আমি হতাশ। বললেন দীনেশ ত্রিবেদী।
মুকুল রায় (তৃণমূল নেতা) - যাত্রী ভাড়া না বাড়ানোয় সন্তোষপ্রকাশ মুকুল রায়ের। রেলের ভাড়া না বাড়ানোয় যাত্রীদের উপর কোনও চাপ পড়বে না। এটা ইতিবাচক । বললেন মুকুল রায়।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস) - ভাড়া বাড়েনি, তবে ভাড়া কমেও তো নি। কমালে বুঝতাম রেল বাজেট সমানুপাতিক হয়েছে। তা হয়নি। তবে যা বলার সৌগত রায় বা ডেরেক ওব্রায়েন দিল্লিতে বলবেন। আমরা এখানে এর থেকে কিছু বলব না। সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
বাবুল সুপ্রিয় (বিজেপি) রেলবাজেট একটা হয় পপিউলিস্ট বা প্রসংশা কোড়ানো বাজেট আর একটা সংস্কারমূলক। এতদিন প্রশংসা কোড়ানোর জন্য রেল বাজেট হয়েছে। তার জন্য পরিষেবা অনেকাংশে ধাক্কা খেয়েছে। অনেক ট্রেন রয়েছে, তবে পরিষেবা অত্যন্ত খারাপ। তার থেকে বরং নতুন ট্রেন না বাড়িয়ে পরিষেবা উন্নত করার ভাবনা চিন্তাটা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। বাবুল সুপ্রিয়।