পাঞ্জাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কংগ্রেসের, অকালি দলের শরিক হয়ে ডুবল বিজেপি
পাঞ্জাবের ভোটের ফলপ্রকাশের পর এই রাজ্যে একদশক পরে ফের ক্ষমতায় ফিরল কংগ্রেস। শিরোমনি অকালি দল ও বিজেপি জোটকে ধুলিস্যাৎ করে ৭৭টি আসনে কংগ্রেস জয় পেয়েছে।
চণ্ডীগড়, ১১ মার্চ : পাঞ্জাবের ভোটের ফলপ্রকাশের পর এই রাজ্যে একদশক পরে ফের ক্ষমতায় ফিরল কংগ্রেস। শিরোমনি অকালি দল ও বিজেপি জোটকে ধুলিস্যাৎ করে ৭৭টি আসনে কংগ্রেস জয় পেয়েছে।
একইসঙ্গে পাঞ্জাবে আর একটি দল অপ্রত্যাশিত ফল করেছে। সেটি হল আম আদমি পার্টি। গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার লড়াই করে চারটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। পিছনে ফেলে দিয়েছিল বিজেপিকেও। আর এবারের বিধানসভা ভোটের নিরিখেও দেখা যাচ্ছে সেই ট্রেন্ডই বজায় রয়েছে। আম আদমি পার্টি ২২টি বিধানসভা আসন জিতেছে। [বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ২০১৭: পাঞ্জাবে এগিয়ে কংগ্রেস, উত্তরাখণ্ডে পাল্লা ভারি বিজেপির]
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, বাকী বিধানসভাগুলিতে যেখানে এককভাবে ভালো ফল করেছে বিজেপি সেখানে পাঞ্জাবে শিরোমনি অকালি দলের হাত ধরে চূড়ান্ত ভরাডুবি হল বিজেপির। মাত্র ১৮টি আসনে অকালি দল-বিজেপি জোট জয়ী হয়েছে। সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ছিল ৫৯টি আসন। তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছে কংগ্রেস।
পাঞ্জাবে লাম্বি আসনে অকালি দলের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পরকাশ সিং বাদলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। জোরদার লড়াই চলেছে দুই প্রার্থীর। তবে পিছিয়ে অমরিন্দর সিং লাম্বি আসনে হেরে যান। তবে পাতিয়ালা থেকে তিনি জয়লাভ করেছেন।
পাঞ্জাব নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল মাদক ব্যবসার রমরমা ও পাচার। এছাড়া কর্মসংস্থান, কৃষকের সমস্যা, অর্থনীতিতে অধঃপতন, স্বজনপোষণ, অপরাধপ্রবণতা, গুন্ডারাজ ইত্যাদি ইস্যুও ছিল। আর এই ইস্যুই অকালি দল-বিজেপি জোটের ভরাডুবির প্রধান কারণ বলে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞদের মতামত উঠে আসছে।