দশবছর বয়সী ধর্ষিতার গর্ভপাতের আবেদন নাকচ আদালতে, কিন্তু কেন
দশ বছর বয়সে ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হওয়া এক মেয়ের গর্ভপাতের আবেদনে সাড়া দিল না পাঞ্জাবের জেলা আদালত।
পাঞ্জাবের জেলা আদালত দশ বছর বয়সে ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হওয়া এক মেয়ের গর্ভপাতের আবেদনে সাড়া দিল না। মেয়েটি ২৬ সপ্তাহের বেশি সময়ের গর্ভবতী। ফলে নিয়ম মেনে এই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। সাধারণত 'মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট' মেনে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভবতীদের গর্ভপাতের অনুমতি দেয় আদালত। তার ব্যক্তিক্রম তখনই হয় যখন গর্ভস্থ ভ্রুণের কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়।
যে মেয়েটির আবেদন আদালত খারিজ করেছে, অভিযোগ, তাকে মামার হাতে একাধিকবার ধর্ষিত হতে হয়েছে। মেয়েটির বাবা সরকারি সংস্থা কর্মরত ও মা লোকের বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন।
আদালতের রায়ে গর্ভপাতের আর্জি খারিজ হয়েছে তা নিয়ে যেমন বিস্ময় রয়েছে, তেমনই এত কম বয়সে মেয়েটি কীভাবে গর্ভধারণ করল তা নিয়েও বিস্ময় চিকিৎসকদের মধ্যে। কারণ মেয়েটির 'পেলভিক বোন' এখনও ঠিকমতো গঠিত হয়নি। এই অবস্থায় পূর্ণ সময়ের গর্ভধারণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সাধারণ ডেলিভারির ঝুঁকি তো নেওয়াই যাবে না, এমনকী সিজার করলেও মেয়েটির জীবন নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে।
রিপোর্ট বলছে, মেয়েটি ছয়মাসের গর্ভবতী। মেয়েটির গর্ভপাতের ার্জি জানিয়ে আদালতে আপিল করা হয়েছিল। এত কম বয়সের কথাও বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে।
পাঞ্জাবে এমন অনেকগুলি ঘটনা হয়েছে যেখানে চিকিৎসকেরা বলছেন দশ বছর বয়সে মেয়েরা ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে গিয়েছে। সাধারণত মেয়েদের পুবার্টি আসে ১৩ বছর বয়সে। তবে অনেকের ৮ বছর বয়সেও তা চলে আসছে। তা সত্ত্বেও মাত্র দশ বছর বয়সে কীভাবে গর্ভধারণ সম্ভব তা নিয়ে ধোঁয়াশায় চিকিৎসকেরাও।