পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে ২ বছরের জেল হতে চলেছে মাশারত আলমের
শ্রীনগর, ২৩ এপ্রিল : তীব্র বিতর্কের মধ্যেই হুরিয়ত নেতা মাশারত আলমের উপর জন নিরাপত্তা আইনের ধারা প্রয়োগ করল জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার। এর ফলে বিচ্ছিন্নতাবাদী এই নেতাকে কম করে দুই বছর জেলেই কাটাতে হবে।
গত সপ্তাহে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাশারত আলমকে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১-ক (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা), ১২৪ (রাষ্ট্রদ্রোহিতা), ১২০-খ (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র), ১৪৭ (দাঙ্গা) ইত্যাদি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতারির পর পরই জামিনের আবেদন করে মাশারত আলম। গতকাল এর শুনানি থাকলেও আদালত তা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়। এর মধ্যেই এদিন মুফতি মহম্মদ সঈদের সরকার এই ধারা প্রয়োগ করল।
হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির পথসভায় পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে ভারতবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ১৮ এপ্রিল মাশারত আলমকে গ্রেপ্তার করে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। আদালত তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে গৃহবন্দি করা হয় খোদ গিলানিকেও। যদিও তাতে উপত্যকায় শান্তি ফেরেনি। একের পর এক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজনের প্রাণ গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল মাশারত আলমকে মুক্তি দেয় জম্মু ও কাশ্মীরের মুফতি মহম্মদ সঈদের সরকার। এরপর ১৮ তারিখ কেন্দ্রের চাপে পড়ে ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।