'অসহিষ্ণু ভারতীয়দের জন্য ভারতে কোনও জায়গা নেই', শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিংসা নিয়ে মন্তব্য রাষ্ট্রপতির
গত এক সপ্তাহ ধরে রামজস কলেজে হিংসার ঘটনার জেরে বাক স্বাধীনতা এবং জাতীয়তাবাদ তর্কে নিজের বক্তব্য পেশ করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বললেন, "অসহিষ্ণু ভারতীয়দের জন্য ভারতে কোনও জায়গা নেই।"
নয়াদিল্লি, ২ মার্চ : গত এক সপ্তাহ ধরে রামজস কলেজে হিংসার ঘটনার জেরে বাক স্বাধীনতা এবং জাতীয়তাবাদ তর্কে নিজের বক্তব্য পেশ করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বললেন, "অসহিষ্ণু ভারতীয়দের জন্য ভারতে কোনও জায়গা নেই।" পাশিপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তির পিছনে যারা রয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির উপদেশ, "অশান্তির সংস্কৃতি ছেড়ে গঠনমূলক আলোচনা এবং তর্কে মন দেওয়া উচিৎ।"
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত সবসময় স্বাধীন চিন্তা ও বাকস্বাধীনতা যা অন্যতম মুখ্য সাংবিধানিক অধিকার তার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভারত এবং ভারতের মানুষ সবার আগে। সময় এসেছে মিলিতভাবে দেশপ্রেম এবং জাতীয় স্বার্থকে নতুন করে আবিস্কার করার।
রামজস কলেজ ইস্যুতে এবিভিপি-র নিন্দা করে ২০ বছরের গুরমেহর কউরের ফেসবুক পোস্ট সোস্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দেয়। সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা, বিভিন্ন জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কেউ গুরমেহরের নিন্দায় সরব হন কেউ আবার তাঁর পাশে দাঁড়ান।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেন, কলেজগুলিকে দেশদ্রোহীদের ঠেক বানাতে দেওয়া যাবে না। অরুণ জেটলি বলেন, একটা শ্রেণী ইচ্ছাকৃতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয়তাবাদকে খারাপ আলোয় নিয়ে আসতে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন ভারত সবসময় তর্কবাগিশ ভারতীয়দের জন্য উচ্ছ্বসিত হয়েছে, অসহিষ্ণু ভারতীয়দের জন্য নয়। এদিন সেই একই ভঙ্গিমায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈধ সমালোচনা এবং ভিন্ন মত পোষণ করার মধ্যে একটা পার্থক্য রেখে চলা উচিৎ।
রাষ্ট্রপতির কড়া বার্তা, "নেতা, রাজনৈতিক কর্মীদের মানুষের কথা শোনা উচিৎ, তাদের সঙ্গে সংযোগ রাখা উচিৎ, তাদের থেকে শেখা উচিৎ এবং তাদের প্রয়োজন এবং উদ্বেগের জবাব দেওয়া উচিৎ। আমাদের আইন প্রণেতাদের কখনওই সাধারণ মানুষকে হাল্কাভাবে নেওয়া উচিৎ নয়।"