নারী নিগ্রহ রুখতে নিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মীরাই ইভটিজিংয়ের শিকার!
পুলিশ কন্ট্রোলরুমের হেল্পলাইনে ফোন করে মহিলা পুলিশকর্মীদের উত্ত্যক্ত করা, রাস্তায় ইভটিজার ধরতে বেরোলে শিস দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গান করা, দূর থেকে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করে পালিয়ে যাওয়া ইত্যাদি এখন জলভাত হয়ে গিয়েছে বরেলিতে। গত অক্টোবর মাসে শুধু বরেলির পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ১৭৩৮টি এমন ফোন এসেছে, যেখানে রোমিওরা প্রেম নিবেদন করতে চেয়েছে মহিলা পুলিশকর্মীদের। 'আমাকে বিয়ে করো', 'তোমাকে দারুণ দেখতে', 'রাতে এসো আমার ঘরে' ইত্যাদি গোছের কথাবার্তাই বেশি শুনতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা পুলিশকর্মী বলেন, "বিরক্ত হয়ে আমরা যখন পুরুষ সহকর্মীদের হাতে ফোন তুলে দিই, তখন কেউ তড়িঘড়ি ফোন কেটে দেয়। কেউ আবার রেগে গিয়ে গালাগালি দেয়। গ্রেফতারের ভয় দেখালেও উপদ্রব কমছে না।"
বরেলি শহরের পুলিশকর্তারা জানান, কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত মামলাগুলি জামিনযোগ্য হওয়ায় তারা আদালত থেকে পরক্ষণেই জামিন পেয়ে যায়। তার পর আবার নতুন উদ্যমে জ্বালাতন করতে শুরু করে। তাই এখন নম্বরগুলি চিহ্নিত করে সিমকার্ড ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে। ৯০টি সিমকার্ড এখনও পর্যন্ত ব্লক করা হয়েছে। এটা অবশ্য খুবই অল্প প্রয়োজনের তুলনায়।