কেরলে গণধর্ষিতাকে পুলিশের প্রশ্ন, 'কে আপনাকে সবচেয়ে খুশি করেছে'!
মহিলা জানিয়েছেন, ধর্ষিতা হওয়ার পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে এক পুলিশ আধিকারিক উল্টে জিজ্ঞাসা করে, ধর্ষকদের মধ্যে কে তাকে সবচেয়ে বেশি খুশি করেছে।
তিরুবনন্তপুরম, ৩ নভেম্বর : কেরলের এক ধর্ষিতা মহিলা নির্যাতনের দু'বছর পরে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন। জানালেন কীভাবে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে মহিলাকে গণধর্ষণ করেছে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে কেমন অভব্য ব্যবহার তাদের সঙ্গে করা হয়েছে। [মুম্বইয়ে বাড়ি খুঁজতে এসে গণধর্ষিতা বিবাহিত মহিলা]
গোটা ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই কেরল সরকারের টনক নড়েছে। মহিলা জানিয়েছেন, ধর্ষিতা হওয়ার পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে এক পুলিশ আধিকারিক উল্টে জিজ্ঞাসা করে, ধর্ষকদের মধ্যে কে তাকে সবচেয়ে বেশি খুশি করেছে। [গাড়ি থেকে বের করে মা ও নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ]
নির্যাতিতার মতে, ধর্ষণের থেকেও পুলিশের হুমকি ও কুরুচিকর মন্তব্য সহ্য করা বেশি কঠিন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন কেরলে থিসারের বাসিন্দা ৩২ বছরের ওই মহিলা। নিজের স্বামীকে পাশে নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। [একই ধর্ষকদের হাতে তিন বছর পর ফের গণধর্ষিতা দলিত যুবতী]
তিনি বলেন, দু'বছর আগে স্বামীর বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে তাঁর চার বন্ধু থিসারে তাদের বাড়িতে এসে জানায় স্বামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মহিলা তাদের সঙ্গে গেলে তাঁকে শহরের বাইরে কোনও এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। [দত্তক নেওয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে]
তখন স্বামীকে গোটা ঘটনা বলতে না পারলেও পরে সবকথা তিনি জানালে স্বামী পুলিশের কাছে যাওয়ার কথা বলেন। সেইমতো গত অগাস্ট মাসে পুলিশের কাছে বারবার দরবার করে শুধু গঞ্জনাই জুটেছে মহিলার কপালে।
কেন পুলিশকে টপকে নারী নির্যাতন সেলে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন সেটা নিয়েও পুলিশ হুমকি দিয়েছে নির্যাতিতাকে। এমনকী জোর করে তাকে দিয়ে সই করিয়ে মামলা তুলে নিয়েছে পুলিশ। জোর করে ম্য়াজিস্ট্রেটের কাছে তার সই করা কাগজ জমা দিয়ে মামলা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কেরলের এই নির্যাতিতার।
মহিলা সাংবাদিক সম্মেলনে ধর্ষকদের নামও জানিয়েছেন। তার মধ্যে একজন সিপিএম কাউন্সিলর রয়েছে। যদিও কাউন্সিলরের পাল্টা অভিযোগ, তিনি মহিলা ও তার স্বামীকে টাকা ধার দিয়েছিলেন, সেটা ফেরত না দিয়ে উল্টে তাকে ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।