'পাক অধীকৃত কাশ্মীরও জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ', সর্বদল বৈঠকে জোরালো দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদীর
নয়াদিল্লি, ১২ অগাস্ট : শুক্রবার কাশ্মীর উপত্যকায় ঘটে চলা অশান্তি নিয়ে সর্বদল বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে ফের একবার কাশ্মীর নিয়ে নিজেদের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠকে তিনি জোরালোভাবে জানালেন, পাক অধীকৃত কাশ্মীরও ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কোনওরকম আপোস করা হবে না।
কাশ্মীরের অধিবাসীদের মন জয় করেই যে এই ইস্যুতে এগোনো সম্ভব সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, "কাশ্মীর যে ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে প্রত্যেক ভারতীয়র মতো তিনিও গভীরভাবে ব্যথিত।" এর পাশাপাশি যেভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কেন্দ্রের পাশে এই ইস্যুতে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছে, সেটাও প্রশংসা করেন তিনি।
পাকিস্তানই যে সীমান্ত পার করে সন্ত্রাসবাদীদের এদেশে ঢুকিয়ে কাশ্মীর অশান্ত করে তুলছে, সেবিষয়টিকেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সর্বদল বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজে কেন্দ্রের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। কাশ্মীর শান্ত করতে সরকার যা পদক্ষেপ করবে কংগ্রেস তাতে পাশে থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে বেশ কিছু পরামর্শ তাঁরা সরকারকে দিয়েছেন। তা গ্রহণও করা হয়েছে। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর যেভাবে কাশ্মীর অশান্ত হয়েছে তা শান্ত করতে অবিলম্বে পেলেট গানের ব্যবহার বন্ধ করা ও সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা বন্ধ করার কথা বলেছে কেউ কেউ।
এছাড়া সর্বদল বৈঠক থেকে আওয়াজ উঠেছে, সবদলের নেতাদের নিয়ে একটি দল তৈরি করে কাশ্মীরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য। যদিও এই বিষয়ে কোনও কথা দেয়নি মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। ৩৫ দিন ধরে উপত্যকার বেশিরভাগ অংশে কার্ফু চলছে। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে ৫০জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। এই নিয়ে আলোচনার জন্যই সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।