'রেনকোট' বিতর্কে এবার পাল্টা নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
রেনকোট বিতর্কে এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, অন্যের বাথরুমে উঁকি মারা প্রধানমন্ত্রীর স্বভাব। তাঁকে এগুলি করতে দিন। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ।
নয়াদিল্লি, ১১ ফেব্রুয়ারি : উত্তরপ্রদেশে একদিকে বিধানসভা নির্বাচন চলছে, আর অপরদিকে জাতীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়ে রাখছে যুযুধান দুই পক্ষ, বিজেপি ও কংগ্রেস। কয়েকদিন আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতি বিতর্কে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার তাঁর পাল্টা দিলে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী।[রেনকোট পরে বাথরুমে স্নান করেছেন মনমোহন সিং, দুর্নীতি ইস্যুতে আক্রমণ মোদীর]
মোদী বলেছিলেন, রেনকোট পরে স্নান করার অভ্যাস রয়েছে মনমোহনের। তাই গায়ে তার জল লাগে না। অর্থাৎ কংগ্রেস আমলে হওয়া চারপাশে এত আর্থিক দুর্নীতির মাঝে দাঁড়িয়েও এতদিন তিনি সৎ ভাবমূর্তি ধরে রেখে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে সামলেছেন।[বারাক ওবামার 'বেডশিট' নিয়ে রাহুলের মন্তব্যে ফের কৌতূক সমালোচকদের]
এই প্রসঙ্গে এদিন রাহুল বলেন, অন্যের বাথরুমে উঁকি মারা প্রধানমন্ত্রীর স্বভাব। তাঁকে এগুলি করতে দিন। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। এদিন অখিলেশ যাদবের সঙ্গে মিলে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল। দুজনেই একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় মোদীকে আক্রমণ করেন।[এটিএম থেকে টাকা তোলার সমস্ত বিধিনিষেধ উঠছে ১৩ মার্চ থেকে]
এর আগে উত্তরপ্রদেশে জনসভায় রাহুলকে ব্যঙ্গ করে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, গুগলে একজনের নামে বেশ রঙ্গ-তামাশা হয়। তিনি গুগলে ঠাট্টার পাত্র। এই প্রসঙ্গে রাহুল এদিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী গুগল করতে ভালোবাসেন, অবসর সময়ে লোকের বাথরুমে উঁকি মারেন। নির্বাচনের ফল বেরলেই মোদী উচিত শিক্ষা পাবেন বলে দাবি করেছেন রাহুল।[মানুষকে বোকা বানাতে, টাকা কামাতে ভোটে দাঁড়িয়েছি, সাফাই ভোটপ্রার্থীর]
হরিদ্বার এক নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, কংগ্রেসের লোকেরা মুখ সামলে কথা বলুনষ আপনাদের ঠিকুজি আমার হাতে রয়েছে। যা শুনে এদিন রাহুল বলেন, গত দু'বছর ধরে আপনি প্রধানমন্ত্রী। আপনি চাইলে কংগ্রেসের ঠিকুজি বের করতে পারেন।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাহুলের সঙ্গে ছিলেন সমাজবাদী পার্টি অধ্যক্ষ অখিলেশ সিং যাদবও। তিনি বলেন, যে কেউ চাইলেই ইন্টারনেট থেকে ঠিকুজি বের করে নিতে পারেন। তাই মানুষকে বোকা না বানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন, কেন এই রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি সাংসদ পাওয়ার পরও রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারল না কেন্দ্রের সরকার।