মোদী-হাসিনার বৈঠক : প্রতিরক্ষা ও অসামরিক পরমাণু চুক্তি-সহ ভারত-বাংলাদেশের ২২টি মউ সাক্ষরিত
শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। এদিনই দুই দেশের মধ্যে ২২টি মউ সাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে অসামরিক পরমাণু চুক্তি ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে।
নয়াদিল্লি, ৮ এপ্রিল : আজ শনিবার, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। এদিনই দুই দেশের মধ্যে ২২টি মউ সাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে অসামরিক পরমাণু চুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তি রয়েছে।
যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এক মিনিট ধরে শুধু হেসেই গেলে মোদী-হাসিনা! কিন্তু কেন?
বাংলাদেশের প্রকল্পর জন্য ভারত ক্রেডিট লাইন ৪.৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বর্ধিত করেছে।
দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে বাংলার রাধিকাপুর থেকে বাংলাদেশের খুলনা পর্যন্ত নতুন বাস পরিষেবার উদ্বোধন করলেন। কলকাতা খুলনা প্যাসেঞ্জার ট্রেন রুটের উদ্বোধনেও করা হল। প্রায় ৭০ বছরের ব্যবধানে ফের একবার ভারত-বাংলাদেশে ট্রেন পরিষেবা চালু হল। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে এই ট্রেন রুট চালু হবে।
হাসিনার চারদিনের ভারত সফরের আজ দ্বিতীয় দিন। এদিনের দুই প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
যদিও এদিন তিস্তা চুক্তি সাক্ষরিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি জানি বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার যে উষ্ণ মনোভাব রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা নয়। তিস্তা নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টার ঘাটতি হবে না আশ্বাস দিচ্ছি বাংলাদেশের মানুষকে। খুব শীঘ্রই কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে।"
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা যেমন ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তেমনই বাংলাদেশের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, খুব শীঘ্রই রফাসূত্র মিলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই তিস্তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ গ্রহণ করে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকায় খুশি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।