সংসদে ২৯ টাকার মধ্যাহ্নভোজ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
নয়াদিল্লি, ২ মার্চ : সংসদে অন্যান্য সাংসদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খরচ পড়ল মাত্র ২৯ টাকা। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রীর মধ্য়ান্যভোজের বিল অবশ্য মিটিয়েছেন তাঁরই ক্যাবিনেটের এক মন্ত্রী।
বিহারের বিজেপি সাংসদ ছেদি পাসওয়ান, গুজরাটের মনসুকভাই ভাসাভা সোমবার দুপুরে অন্যান্য দিনের মতোই সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট ক্যান্টিনে বসে খাওয়াদাওয়ার পর বিলের টাকা মেটাতে যাবেন এমন সময় হঠাৎই সেখানে ঢুকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একেবারে সোজা গিয়ে তাদের টেবিলে বসে পড়লেন।
সংসদের ক্যান্টিনে সচরাসচ প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যাওয়ার রীত নেই।
বিহারের সাংসদের সামনের চেয়ারে বসেই, একেবারে নিজের ঢংয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, "কী হে , বিহারের কী অবস্থা এখন।" ছেদি পাসওয়ানের তো সে একেবারে গলা শুকিয়ে কাঠ। কী বলবেন, কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
এরই মধ্যে পিছন ফিরে ক্যান্টিনের এক কর্মীর দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'কিছু খেতে দাও আমায়।'
প্রধানমন্ত্রী নিরামিষাশী তা জানা ছিল ক্যান্টিনের ওই কর্মীর। তাই প্রধানমন্ত্রীর জন্য নিরামিষ থালি নিয়ে আসেন ওই কর্মী। যাতে ছিল শাক, স্যালাড, ডাল, কারি ইত্যাদি। খাবার আসার পর গুজরাতের সাংসদের সঙ্গে গল্প করতে করতে খাওয়া শুরু করেন মোদী। ২০ মিনিটে শেষ করেন খাওয়া।
খাবার পরে বিল দেওয়ার সময় বিড়াম্বনায় পড়েন ক্যান্টিনের কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর থেকে টাকা নেওয়া উচিত কী উচিত নয় তা নিয়ে দ্বিধা। যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী ২৯ টাকার থালির দাম মিটিয়ে দেন কয়লামন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
খাওয়া শেষে প্রধানমন্ত্রী ক্যান্টিন কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বেরনোর সময় রীতিমতো ভিজিটর ডায়েরিতে স্বাক্ষর করে যান, এবং যে কর্মী তাঁর জন্য খাবার আনেন তাঁকে 'অন্নদাতা' বলে উল্লেখ করেন।
সংসদের ক্যান্টিন ভারতের সবচেয়ে সস্তা খাওয়ার জায়গা। যেখানে সাংসদ এমনকী সাংবাদিকরাও ১২ টাকায় মধ্যাহ্নভোজ করতে পারেন। দাম কম হলেও খাবার গুণগত মান ভাল। এই ক্যান্টিনের সবচেয়ে বেশি দামি খাবারটি হল চিকেন বিরিয়ানি যার দাম ৩৪ টাকা মাত্র।