চার দেশের বিদেশ সফরে ইউরোপে প্রধানমন্ত্রী মোদী, কেন এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ
চার দেশের বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ইউরোপের চারটি দেশে সফর করার কথা তাঁর। মোট ছয়দিনের সফরে তিনি যাবেন জার্মানি, স্পেন, রাশিয়া ও ফ্রান্স।
কয়েকদিন আগেই তাঁর নেতৃত্বে সফলভাবে তিনবছর পূর্ণ করেছে এনডিএ সরকার। আর সেই সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চার দেশের বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ইউরোপের চারটি দেশে সফর করার কথা তাঁর। মোট ছয়দিনের সফরে তিনি যাবেন জার্মানি, স্পেন, রাশিয়া ও ফ্রান্স।
মূলত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা ও বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আনাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরের মুখ্য উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে। তিনি নিজে টুইট করে জানিয়েছেন, এই দেশগুলিকে ভারতে আরও বেশি বিনিয়োগের জন্য আহ্বান করে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিই এই সফরের প্রধান লক্ষ্য।
প্রথমে জার্মানিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল ও রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমেইয়রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
মোদী জানিয়েছেন, জার্মানি ভারতের বিশেষ বন্ধু দেশ। ভারতের বদল আনতে জার্মানি বন্ধু হিসাবে পাশে দাঁড়িয়েছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি চতুর্থ ভারত-জার্মানি দুদেশেরই শীর্ষস্থানীয় উদ্যোগপতিদের সঙ্গেও দুই দেশ একই মঞ্চে আলোচনা করবে।
বানিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ ঠেকানো, প্রযুক্তি, স্কিল ডেভলপমেন্ট, পরিকাঠামো উন্নয়ন, রেল, উড়ানের উন্নত যোগাযোগ নিয়েও আলোচনা করবে।
সোমবারের পর মঙ্গলবার স্পেন সফরে যাবেন মোদী। গত তিন দশকে এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী স্পেন সফরে যাচ্ছেন। সেদেশে তিনি রাজা ফেলিপ ষষ্ঠ ও রাষ্ট্রপতি মারিয়ানো রাহোয়-এর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। স্পেনেও আলোচনার মুখ্য বিষয় হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সন্ত্রাসবাদ ঠেকানো।
এরপরে মোদী যাবেন রাশিয়া সফরে। সেখানে ৩১ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত থাকবেন তিনি। ভারত-রাশিয়া দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে। একইসঙ্গে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। এছাড়া অষ্টাদশ ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সামিটও হওয়ার কথা রয়েছে।
এরপরে প্রধানমন্ত্রী মোদী যাবেন ফ্রান্স সফরে। নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা নরেন্দ্র মোদীর। নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দুদেশের আলোচনা হবে। এছাড়া অন্য আলোচনার বিষয়গুলি হল সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি।