প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশ সফর: সন্ত্রাস দমনে থাকবে বিশেষ নজর!
নয়াদিল্লি, ৪ জুন : বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেশ কিছু বিষয়ই এই সফরে আলোচিত হবে। অন্যতম মুখ্য বিষয় যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা হল সীমান্ত সম্পর্কিত বিষয় এবং সন্ত্রাসবাদ। বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ডে সাম্প্রতিক তদন্ত দেখিয়ে দিয়েছে এই দুই দেশের মধ্যে আরও অনেক সমন্বয় ও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। [ভারতে হাইপ্রোফাইল অপহরণের ছক কষছিল বাংলাদেশী জঙ্গি গোষ্ঠী]
আইএসআইএস এবং আল-কায়েদা জঙ্গিরা বা তাদের এজেন্টরা বাংলাদেশে থেকে কীভাবে ভারতকে নিশানা বানাতে চাইছে তাও আলোচনার অন্যতম বিষয় হবে বলে সূত্রের তরফে ওয়ানইন্ডিয়াকে জানানো হয়েছে। আইএসআইএস এবং জামাত উল মুজাহিদিনের সঙ্গে বাংলাদেশের নৈকট্যও আলোচনায় স্থান পাবে। [পরিবর্তনের বাংলায় সন্ত্রাস মডিউলেও এসেছে পরিবর্তন !]
সন্ত্রাস দমন নিয়ে পদক্ষেপ
তবে এর বাইরেও সন্ত্রাস দমন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যার উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন। আর তা হল সন্ত্রাস দমন। দুই দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পদক্ষেপ নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। যদিও শুধু তথ্য থাকলেই চলবে না। এই তথ্য কাজেও লাগাতে হবে। আর এই বিষয়টি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র বের করতে হবে।[গোপন পরিকল্পনা প্রকাশ: বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একত্রীকরণ চেয়েছিল জঙ্গিরা]
ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি ভারতীয় যুবকদের কাজে যুক্ত করানোর পরিকল্পনা করছে। যদি আরও নির্দিষ্ট করে বলতে হয় তাহলে বলা যায়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ গোষ্ঠীর নির্দেশেই জেএমবি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। [বর্ধমানে বসেই শেখ হাসিনাকে খুনের ছক কষছিল জেএমবি?]
শুধু তথ্য থাকাটাই যথেষ্ট নয়। তাদের কীভাবে ধরা হবে , যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশে অবস্থিত তা নিয়ে আলোচনার অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।
রাজ্যগুলির ভূমিকা
ভারতের ক্ষেত্রে যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি উচ্চপর্যায়ের আলোচনা করলেই তা শেষ নয়। ভারতে আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকেও বাংলাদেশ থেকে আসা সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রদেশের আটকানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। রাজ্য সরকারকে আশ্বস্ত করতে হবে যে কোনও মডিউল গড়ে উঠছে খবর পেলেই স্থানীয় পুলিশকে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিতে হবে।
বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের সময় যেমন সামনে এল যে স্থানীয় রাজনৈতির নেতাদের মদতেই গড়ে উঠেছে জেএমবি মডিউল, রাজ্য সরকারকেই আশ্বাস দিতে হবে রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটবে না। [বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ-তামিলনাডু: দুনিয়ার জঙ্গিরা ঘর গোছাচ্ছে, প্রশাসন কিছুই জানে না?]
বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির লক্ষ্য মূলত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের দিকেই। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর এলে প্রথম যারা পদক্ষেপ নিতে পারে তারা হল স্থানীয় পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েই সরাসরি এলাকায় পৌছে 'অ্যাকশন' নিতে হবে।
পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু খুনের ঘটনা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী ব্লগারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। য়ার মাধ্যমে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে, এখানে সংযম হা উদারীকরণের কোনও জায়হা নেই। আনসার উল বাংলা-এ মতো সংগঠনগুলো ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এবং দেশকে সেই উনবিংশ শতাব্দীর ত্রাসে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।
এই আনসার আসলে জেএমবি-রই শাখা। জেএমবি-র মতো একইভাবে ভারতে আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে। যদি ভারত ও বাংলাদেশ একজুট হয়ে এই সংস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে তাহলে যে তাদের দমন করাই শুধু সহজ হবে তা না একইসঙ্গে অন্যান্য দুষ্ট শক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা থেকে বিরত করবে।
আনসার তাদের শাখা প্রশাখা ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে ছড়াতে চাইছে।